বাম আমলের বঞ্চনা! জমি জট কাটিয়ে স্বাধীনতার পর চেয়ারম্যানের হাত ধরে প্রথম বিকল্প রাস্তা পেল বালুরঘাটের ৫ নম্বর ওয়ার্ড। খুশিতে আপ্লুত বাসিন্দারা।
পিন্টু কুন্ডু, বালুরঘাট, ২১ ফেব্রুয়ারী ——— বাম আমলের বঞ্চনা! জমিজট কাটিয়ে স্বাধীনতার পর চেয়ারম্যানের হাত ধরে প্রথম বিকল্প রাস্তা পেল বালুরঘাট শহরের ছাত্রপল্লী এলাকার বাসিন্দারা। সংযোগ স্থাপন শহরের তিনটি ওয়ার্ডের। খুশিতে আপ্লুত শহরের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দারা। নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি পালন, বললেন চেয়ারম্যান।
জানা গেছে, বালুরঘাট শহরের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ছাত্রপল্লী এলাকা থেকে রামকৃষ্ণপল্লী ও তৎসংলগ্ন পাওয়ার হাউজ বাজারে পৌছাবার তেমন কোন বিকল্প রাস্তা না থাকায় নিত্যদিনে অনেকটাই ঘুরপথে যেতে হতো ওই এলাকার বাসিন্দাদের। যা নিয়ে বিগত বাম আমল থেকেই দরবার করে আসছিলেন ওই এলাকার বাসিন্দারা। নির্বাচন আসলে মিলেছে সেই বিকল্প রাস্তার বহু প্রতিশ্রুতিও। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। অথচ ওই পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডই বামেদের অন্যতম শক্ত ঘাটি হিসাবে পরিচিত ছিল। শুধু তাই নয়, একসময় বালুরঘাট পুরসভার চেয়ারম্যানও নিযুক্ত হয়েছিলেন ওই ওয়ার্ড থেকেই। কিন্তু তারপরেও বাসিন্দাদের প্রতিশ্রুতি দেওয়া বিকল্প রাস্তার কোন সমাধান ঘটেনি। এরপর ২০২২ এর পুরসভা নির্বাচনে বামেদের সরিয়ে ওই এলাকার বাসিন্দারা ক্ষমতায় আনে তৃণমূল কে। কাউন্সিলর হিসাবে নির্বাচিত হন ওষুধ ব্যবসায়ী অশোক মিত্র। দলীয় নির্দেশে পরে তাকে পুরসভার চেয়ারম্যানও করা হয়। যে চেয়ারে বসেই বামেদের দীর্ঘ বঞ্চনার অবসান ঘটাতে তৎপর হন কাউন্সিলর অশোক মিত্র। শহরের ৫,৬ ও ১১ নম্বর ওয়ার্ডের মানুষকে একটি রাস্তার মাধ্যমে সংযুক্ত করতে দিন রাত এককরে মাঠে নামেন তিনি। যারপরেই ২২ লক্ষ টাকা বরাদ্দে প্রায় তিনশো মিটার ওই রাস্তা তৈরীর কাজে হাত লাগায় বালুরঘাট পুরসভা। দ্রুততার সাথে শুরু হয়েছে সেই রাস্তা নির্মাণের কাজও। আগামী কিছুদিনের মধ্যে এলাকার সাধারণ মানুষের চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে সেই রাস্তাও বলে আশ্বাস দিয়েছেন চেয়ারম্যান অশোক মিত্র। তিনি বলেন, নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তার ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের। সেই হিসেবেই কাজ শুরু করেছে পুরসভা। একই সাথে তিনি আরো বলেন, এর আগে বামেদের কাউন্সিলর, চেয়ারম্যান এলাকার মানুষ কে বহুবার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। ছোট থেকে যা তিনি নিজেও শুনে এসেছেন। কিন্তু কাজের কাজ তারা কিছুই করতে পারেন নি।
বালুরঘাট পুরসভার চেয়ারম্যান অশোক মিত্র বলেন, দীর্ঘ বছরে বামেরা কেন এই রাস্তাটি তৈরি করতে পারেনি তার উত্তর তারাই ভালো দিতে পারবেন। আমি সুযোগ পেয়েছি। মানুষকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম। যত তাড়াতাড়ি এই রাস্তাটি উপহার হিসাবে তুলে দিতে পারবো ততই এই এলাকার মানুষ উপকৃত হবে।
এলাকার প্রাক্তন কাউন্সিলর প্রলয় ঘোষ বলেন, ওই রাস্তাটি তৈরি নিয়ে একটা জমিজট ছিল। শুধু তাই নয় আবর্জনা ফেলে রাস্তার ভিতটি তিনিই করেছিলেন। এখন পাকা রাস্তা হচ্ছে খুব ভালো কথা। কিন্তু রাস্তার জল বেরোনোর জন্য একটি কালর্ভাটের খুবই প্রয়োজন। তা না হলে ভবিষ্যতে সমস্যা হবে এলাকার মানুষের।