মেলা মানেই বহু মানুষের সমাগম, মানুষের মিলন ক্ষেত্র।যেখানে দুর দুরান্তু থেকে মানুষ ছুটে আসে মেলা দেখতে, জিনিস পত্র কেনা কাটা করতে, আজ এমনই এক মেলার প্রস্তুতি পর্ব তুলে ধরার চেষ্টা করবো আপনাদের কাছে যার নাম দলুয়া মেলা , যে মেলা দীর্ঘ দশকের পর দশক ধরে অনুষ্ঠিত হয়ে চলেছে, উওর দিনাজপুর জেলার ইসলামপুর মহকুমার চোপড়া ব্লকের অন্তর্গত দলুয়া মেলা এই মেলার আকর্ষণ সুধু যে এই জেলায় সীমাবদ্ধ তা কিন্তু নয় জেলার বাইরেও ছড়িয়ে পড়েছে এই মেলার খ্যাতি তাই তো দুর দূরান্ত থেকে ছুটে আসে ভক্তরা এই মেলায়। প্রতি বছর মাঘী পূর্ণিমায় এই মেলা অনুষ্ঠিত হয়।, মেলা প্রাঙ্গণে রয়েছে বিভিন্ন দেব দেবীর মন্দির, মেলা প্রঙ্গনটি ডক নদীর তীরে অবস্থিত, মেলায় উপস্থিত ভক্তরা ডক নদীতে স্নান সেরে দেবাদিদেব মহাদেবের মাথায় জল ঢালেন এবং অন্যান্য দেব দেবীর মন্দিরে পূজো দেন পূণ্য অর্জনের জন্য। তাঁর সাথে উপস্থিত হাজার হাজার ভক্ত মেলায় ঘুরে বিভিন্ন সামগ্রী কেনা কাটাও করেন।
দশকের পর দশক ধরে এই মেলাকে ঘিরে ভক্তদের মধ্যে রয়েছে আলাদাই এক টান, অনান্য বছরের মতো এ বছরও সুদূর শিলিগুড়ি থেকে এই দলুয়া মেলা উপভোগ করতে উপস্থিত হয়েছেন তারক নাথ ব্রজবাসী, তিনি জানান প্রতি বছর তিনি এই মেলায় উপস্থিত হন, তিনি আরো জানান এই মেলার আলাদা এক আকর্ষণ রয়েছে, মেলার সময় এলেই তার মনে মেলার প্রতি আকর্ষণ অনুভব করেন এবং মেলায় ছুটে আসেন,
কিন্তু মেলার শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি পর্বে সংবাদ মাধ্যমের কাছে উঠে এলো মেলাকে ঘিরে বেশ কিছু মিশ্র ক্রিয়া প্রতিক্রিয়া। শিলিগুড়ি থেকে আগত এক ব্যাবসায়ী জানান মেলায় তিনি প্রতি বছর আসেন মেলায় আসার রাস্তার অবস্থা তেমন ভালো না। নবদ্দিপ থেকে আগত আরো এক ব্যাবসায়ী জানান তিনি প্রায় দশ বছর ধরে এই মেলায় আসেন, আগের থেকে মেলার সব কিছুর অনেক উন্নতি হয়ছে, তবে তিনি এও জানান ভগবানের আশীর্বাদে বেচাকেনা ভালোই হয়।
কিন্তু মেলার মন্দির কমিটির সভাপতি জয়ন্ত কুমার সিংহ জানান, মেলার রাস্তা ঘাট অনুন্নত, জলের ঠিক ঠাক ব্যাবস্থা করে না মেলা কমিটি, তবে তিনি এও জানান এবছর রাস্তা তৈরির জন্য মাটি ফেলা হয়ছে, আশা করছেন সব দ্রুত ঠিক হবে। মেলা কমিটির এক সদস্য জানান মেলায় আপাত কালীন সব ধরণের ব্যাবস্থা করা হয়েছে, প্রসাশনও এই মেলা ঘিরে যথেষ্ট তৎপর, এছাড়া জল বা অনান্য ব্যাবস্থাও করা হয়েছে।