গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে নিজের ওয়ার্ডে মহিলাদের ক্ষোভ নিয়ে তৃণমূল কে দোষারোপ সুকান্তর! চব্বিশ ঘণ্টা পর মুখ খুলে তৃণমূলের তোপের মুখে রাজ্য সভাপতি।
পিন্টু কুন্ডু, বালুরঘাট, ২৮ মার্চ ———- গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে নিজের ওয়ার্ডে মহিলাদের প্রশ্নবানের ঘটনায় তৃণমূলকে দোষারোপ সুকান্তর। চব্বিশ ঘণ্টা পর মুখ খুলে তৃণমূলের তোপের মুখে বিজেপির রাজ্য সভাপতি। ঘটনাকে ঘিরে রীতিমতো সরগরম পরিস্থিতি বালুরঘাট লোকসভা কেন্দ্রে। অস্বস্তিতে গেরুয়া শিবির। জানা যায়, বুধবার বালুরঘাটে নিজের ওয়ার্ডে ভোট প্রচারে বেরিয়ে গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে মহিলাদের প্রশ্নবানের মুখে পড়েন সুকান্ত। যে ঘটনায় শুধুমাত্র প্রার্থী সুকান্ত মজুমদারই নয়, অস্বস্তিতে পড়েন সুকান্তর সাথে থাকা অনান্য বিজেপির নেতা কর্মীরাও। যদিও পালটা ওই মহিলাকে একশো টাকা দাম কমার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়েছিলেন সুকান্ত। যে ঘটনার পরেই সুকান্তর পাড়ায় মহিলাদের ক্ষোভের সেই ভিডিও টুইট করে এই ঘটনা নিয়ে সরব হয় রাজ্য তৃণমূল। যার পরেই বিষয়টি নিয়ে মুখ খোলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা বালুরঘাটের প্রার্থী সুকান্ত মজুমদার। তার দাবি, গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে তৃণমূল যে দাবি করেছে তা সম্পুর্ন মিথ্যে। ওইদিন একটি মহিলাকেই এনিয়ে সরব হতে দেখা যায়, যিনি তৃণমূলেরই স্পনসর করা লোক বলেই দাবি করেছেন তিনি। আর যা নিয়েই পালটা সুকান্তকে আক্রমণ করতে পিছপা হয়নি তৃণমূলও। তাদের দাবি, সুকান্ত বাবুকে এখন তৃণমূলের ভূত তাড়া করে বেড়াচ্ছে। পাচ বছরে কোন এলাকাতেই দেখা যায়নি সাংসদকে। এখন ভোট চাইতে বেরোলেই সাধারণ মানুষ তাকে ঘিরে ধরে ক্ষোভ প্রকাশ করছে। আর সাধারণ মানুষকেও সুকান্ত বাবু এখন তৃণমূলের লোক দেখতে পাচ্ছে।
বিজেপি প্রার্থী সুকান্ত মজুমদার বলেন, ওইদিন একটি মহিলাকেই দেখা গিয়েছিল এনিয়ে কথা বলতে যিনি তৃণমূলের স্পনসর করা লোক। একইসাথে তিনি আরো বেশকিছু উদাহরণ টেনে বলেন ইউপিএ সরকারের আমলে ১২৭০ টাকায় গ্যাস কিনতে হয়েছে সাধারণ মানুষকে। বিজেপি শাসিত প্রত্যেক রাজ্যে ভর্তুকি দেওয়া হয় বলেই সেখানকার মানুষ কম টাকায় গ্যাস কিনতে পারে।
বালুরঘাট টাউন তৃণমূল সভাপতি প্রীতম রাম মন্ডল বলেন, সুকান্ত বাবুকে এখন তৃণমূলের ভূত তাড়া করে বেড়াচ্ছে। পাচ বছরে কোন এলাকাতেই দেখা যায়নি সাংসদকে। এখন ভোট চাইতে গেলেই সাধারণ মানুষের ক্ষোভের মুখে পড়ছেন তিনি। গ্যাসের দাম বৃদ্ধি নিয়ে যেমন শহরের মহিলারা সরব হয়েছেন তেমনি গ্রামে গেলে বেকার ছেলেমেয়েরা কর্মসংস্থানের দাবিতে সরব হবে। কেননা তিনিই বুনিয়াদপুরের ঘোষিত ওয়াগন ফ্যাক্টরীটি বন্ধ করে দিয়ে এজেলার বেকার ছেলেমেয়েদের জীবনে অন্ধকার ডেকে নিয়ে এসেছেন।