অবাক ঘটনা! নির্দল প্রার্থীর মনোনয়ন জমা করাতে মুখ ঢেকে ঢুকলেন বিজেপির মহিলা মোর্চার নেত্রী। ষড়যন্ত্র চলছে, বলল বিপ্লব
পিন্টু কুন্ডু, বালুরঘাট, ৩ এপ্রিল ———- অবাক কান্ড! নির্দল প্রার্থীর মনোনয়ন জমা করাতে মুখ ঢেকে ঢুকলেন বিজেপির মহিলা মোর্চার নেত্রী। বুধবার দুপুরে এই ঘটনাকে ঘিরে তুমুল আলোড়ন ছড়িয়েছে বালুরঘাটে। সংখ্যালঘু ভোট ব্যাঙ্ককে আলাদা করতে বিজেপি যে এসব ষড়যন্ত্র করছে তা স্পষ্ট হয়েছে এই ঘটনাতেই, বললেন তৃণমূল প্রার্থী বিপ্লব মিত্র।
জানা গেছে, নির্দল ওই মহিলা প্রার্থীর নাম মুসলিমা খাতুন। বাড়ি গঙ্গারামপুর থানার প্রাণসাগর এলাকায়। এদিন যাকে সঙ্গে নিয়েই একপ্রকার চুপিসারে মুখ ঢেকে মনোনয়ন জমা করাতে ঢোকেন বিজেপির মহিলা মোর্চার নেত্রী দীপিকা প্রামাণিক। যিনি মহিলা মোর্চার জেলা কমিটিতে ইনভাইটি মেম্বার হিসাবে রয়েছেন বলে দলীয় সুত্রের খবর। যদিও দীপিকা প্রামাণিক নামে ওই মহিলা নেত্রী কে চিনতেই পারেননি জেলা মহিলা মোর্চার সভাপতি। আর যাকে ঘিরেই তুমূল আলোড়ন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বালুরঘাট লোকসভা কেন্দ্রে। সংগঠনের অতি সক্রিয় নেত্রী দীপিকা প্রামানিককে কেন চিনতে পারলেন না জেলা মহিলা নেত্রী তা নিয়েও শুরু হয়েছে গুঞ্জন। এদিকে সংখ্যালঘু মহিলা মুখ কে সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকা থেকে কেন নির্দল প্রার্থী হিসেবে বিজেপির ওই মহিলার নেত্রী মনোনয়ন জমা করালেন তা নিয়েও জেলাজুড়ে শুরু হয়েছে জোর জল্পনা। যদিও তৃণমূল প্রার্থীর দাবি, সংখ্যালঘু ভোট ব্যাঙ্কে থাবা বসাতে বিজেপি এসব উস্কানি ও ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে গোটা লোকসভা কেন্দ্রে।
বালুরঘাটের তৃণমূল প্রার্থী বিপ্লব মিত্র বলেন, সংখ্যালঘু ভোটব্যাঙ্কে থাবা বসাতে বিজেপি যে এসব ষড়যন্ত্র করছে এই ঘটনা তা স্পষ্ট করেছে। তবে এসব করে তৃণমূলকে যে আটকানো সম্ভব নয়, তাও জানিয়েছেন তিনি।
বিজেপির মহিলা মোর্চার জেলা নেত্রী ষষ্ঠী বসাক ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, এমন বিষয় তার জানা নেই। না জেনে কিছুই বলতে পারবেন না তিনি। শুধু তাই নয়, দীপিকা প্রামাণিক নামে কাউকেই তিনি চেনেন না।