তপন: কথা ছিল ইদে বাড়ি ফিরে মেয়েদের জন্য নতুন জামা কাপড় কিনবে। পরিবারের লোকজনের সঙ্গে ইদ পালন করবে। কিন্তু তার আগে পরিযায়ী শ্রমিক যুবককের দেহ কফিনবন্দি হয়ে গ্রামে ফিরল। ঘটনায় শোকের ছায়া এসেছে।
তপন ব্লকের রামচন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মহেন্দর গ্রামের বাসিন্দা খাইরুল মিঁয়া (৩৩)। স্ত্রী,দুই মেয়ে ও বয়স্ক মা কে নিয়ে খাইরুলের সংসার। পরিযায়ী শ্রমিকের কাজ করে তাঁর সংসার চলে। গত ২২ দিন মহেন্দর গ্রামের খাইরুল হায়দ্রাবাদে শ্রমিকের কাজে গিয়েছিল। ইদে বাড়ি ফিরে আসার কথা ছিল। মেয়েদের জন্য নতুন জামা কেনার কথা ছিল। কিন্তু একটি ফোনে পরিকল্পনা যেন ওলট পালট হয়ে যায়।পরিযায়ী শ্রমিক পরিবারে নেমে আসে শোকের ছায়া। গত শুক্রবার হায়দ্রাবাদে কাজ করার সময় বহুতল থেকে আচমকায় পড়ে যায় খাইরুল। তড়িঘড়ি তাকে সেখানকার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে শেষ রক্ষা হয়নি।চিকিৎসকরা মৃত বলে জানিয়ে দেয়। সোমবার হায়দ্রাবাদ থেকে খাইরুলের কফিনবন্দি মৃতদেহ গ্রামে ফেরে। যুবককের দেহ ফিরতে গ্রামে জুড়ে শোকের ছায়া নেমে আসে।
মৃতের স্ত্রী মরিয়ম খাতুন বলেন,হায়দ্রাবাদে কাজে গিয়েছিল। ইদের সময় বাড়ি আসার কথা ছিল। কিন্তু এভাবে মানুষটা চলে যেতে হবে মেনে নিতে পারছি না।
মৃতের মামা মতিউর মন্ডল বলেন,ভাগ্নের সঙ্গে আমিও কাজে গিয়েছিলাম। একই বিল্ডিং আলদা আলদা জায়গায় আমরা কাজ করছিলাম। গত শুক্রবার দুপুরে কাজ শেষে করে ভাতের থালা সবে হাতে নিয়েছি। তখন দেখছি কয়েকজন ছোটাছুঁটি করছে।একজনকে ছোটাছুঁটির কারন জিঞ্জেস করতে বলে ৩৬ তলা থেকে একজন পড়ে গিয়েছে। ভাতের থালা ফেলে ছুটে গিয়ে দেখছি ভাগ্নে পড়ে আছে। তিনি পারছি না ভাগ্নের এমন ঘটনা ঘটবে।
স্থানীয় গ্রামবাসী সেলিম রোজ্জাক বলেন,অভাবের তাড়নায় আমাদের গ্রামের যুবক হায়দ্রাবাদে শ্রমিকের কাজে গিয়েছিল। সেখানে গিয়ে তাঁর মৃত্যু হয়। সেলিম সাহেব বলেন রাজ্যে ১০০ দিনের কাজ থাকলে এমনটা হয়তো হত না। খাইরুলেয় মৃত্যুতে আমরা শোকাহত।