মালদাঃ—–নতুন সেপটিক ট্যাঙ্ক খননের কাজ করতে নেমে মৃত্যু হল এক শ্রমিকের।অসুস্থ আরো এক শ্রমিক।এমনকি ওই দুই শ্রমিককে বাঁচাতে গর্তে নেমে মৃত্যু হয়েছে এক প্রতিবেশীরও বলে খবর।শুক্রবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটেছে কাশ্মীরে।মৃত যুবকের নাম আজিজুর রহমান(৩০)।তার বাড়ি মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর থানার মশালদহ গ্রাম পঞ্চায়েতের মহন্তপুর গ্রামে।কাজ করা অবস্থায় ট্যাঙ্কের ভেতরেই তার মৃত্যু হয়।তবে কীভাবে মৃত্যু হয়েছে,সেটি এখনো স্পষ্ট নয়।ধারণা করা হচ্ছে,ট্যাঙ্কের ভেতরে অক্সিজেনের অভাবে তাদের মৃত্যু হয়েছে।জানা গিয়েছে,দুই মাস আগে মহন্তপুর গ্রামের আজিজুর রহমান ও আজমল হোসেন কাশ্মীর এলাকায় সেপটিক ট্যাঙ্কের কাজ করতে যায়।এদিন নতুন সেপটিক ট্যাঙ্ক খননের কাজ করতে ২০ ফিট নীচে গর্তে নামে আজিজুর।বেশ কিছুক্ষণ কেটে গেলেও ওই শ্রমিক উপরে না ওঠায়,তাঁর সহকর্মী আজমল হোসেন ডাকাডাকি শুরু করে৷কোনও সাড়া-শব্দ না পেয়ে সেও নীচে নেমে যায়৷দীর্ঘক্ষণ ওই দুই শ্রমিককে দেখেতে না পেয়েই ট্যাঙ্কের কাছে যান বাড়ির মালিক সহ প্রতিবেশীরা।দেখেন,দু’জনেই সংজ্ঞাহীন।চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করেন তারা।এবং তাদেরকে বাঁচাতে এক প্রতিবেশী ট্যাঙ্কের
নীচে নেমে যায়।তারও কোনো খোঁজ না পাওয়ায় ফোন করা হয় স্থানীয় প্রশাসনকে।তাদেরকে উদ্ধার করে নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা এক শ্রমিক সহ ওই প্রতিবেশীকে মৃত বলে ঘোষণা করেন ৷
মৃত শ্রমিকের স্ত্রী আকতারা খাতুন জানান,দুই মাস আগে তার স্বামী কাশ্মীরে
কাজ করতে যায়।সে ছিল পরিবারের একমাত্র রোজগেরে।পরিবারে রয়েছে স্ত্রী সহ তিন নাবালক সন্তান।এখন কিভাবে সন্তানদেরকে মানুষ করে তুলবে এবং তাদের মুখে দুমুঠো ভাত জোগাড় করবে
এই নিয়ে বড় দুশ্চিন্তায় পড়েছে সে।মৃত্যুর খবর পেয়ে শনিবার ওই শোকার্ত পরিবারকে সমবেদনা জানাতে ছুটে যায় উত্তর মালদহ লোকসভা কেন্দ্রের কংগ্রেসের প্রার্থী মোস্তাক আলম।স্থানীয়
পঞ্চায়েত প্রধান ও ব্লক প্রশাসনকে পরিবারটিকে সাহায্যের জন্য আবেদন করবেন বলে জানান মোস্তাক।