পরক্রিয়ার জের, গ্রামবাসীদের হাতে ধরা খেয়ে সম্পূর্ণ হল বৃদ্ধ-বৃদ্ধ্যার বিয়ে। ঘটনায় চাঞ্চল্য বুনিয়াদপুর পৌরসভার আট নম্বর ওয়ার্ডের রামকৃষ্ণ পল্লী এলাকায়।
জানা গিয়েছে বংশীহারী থানার অন্তর্গত তিন নম্বর এলাহাবাদ অঞ্চলের দরগা এলাকার বাসিন্দা বাবু দাসের সঙ্গে বুনিয়াদপুর পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা রিনা দাস এর বেশ কয়েক বছর ধরে চলছিল পরক্রিয়ার সম্পর্ক। দরগা এলাকার বাসিন্দা বাবু দাস বেশ কিছুদিন যাবত রিনা দাসের বাড়িতে একই ঘরে রাত্রি যাপন করছিলেন। এরপরেই বুনিয়াদপুর পৌরসভার আট নম্বর ওয়ার্ডের রামকৃষ্ণপল্লী এলাকার বাসিন্দারা রবিবার রাত্রি বারোটা নাগাদ একত্রিত হয়ে তাদের হাতেনাতে ধরে ফেলে। তাদের সাথে কথা বলতেই তারা জানায় একে অপরকে তারা বেশ কিছু বছর ধরে ভালবাসে, মূলত সেই জন্যই তারা পরকীয়ায় সম্পর্কে লিপ্ত হয়ে পড়ে, এলাকার বাসিন্দারা সবকিছু জানার পরেই তাদের স্থানীয় এক মন্দিরে নিয়ে গিয়ে বাবু দাস ও রিনা দাসের বিবাহ দিয়ে দেয়। ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে বুনিয়াদপুর পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের রামকৃষ্ণ পল্লী এলাকায়। জানা যায় বাবু দাস পেশায় একজন জ্যোতিষী ও রিনা দাস পেশায় একজন সরকারি দপ্তরের কর্মী বলে জানা গিয়েছে। সূত্র জানা গিয়েছে, বাবু দাস এই নিয়ে তিনবার বিয়ের পিঁড়িতে বসলেন, বাবু দাস যাদুটলায় বিশ্বাসী তাই প্রথম ও দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী তাকে ডিভোর্স দিয়ে চলে গিয়েছে। তিনি আগে মুসলিম ধর্মাবলম্বীর মানুষ হলেও এখন বর্তমানে তিনি হিন্দু ধর্ম পালন করছেন। এমনকি তার নিজের মাকে জোর করে ও মারধর করে হিন্দু ধর্ম গ্রহণ করতে বাধ্য করিয়েছেন। এখনো তিনি জ্যোতিষীর পেশায় যুক্ত রয়েছেন।
এ বিষয়ে এলাকার দুই বাসিন্দা নিমাই দাস ও সন্তোষ বিশ্বাস এরা জানিয়েছেন, কাল গভীর রাতে আমাদের পাড়ায় মধ্যবয়স্ক দুই জন বেশ কিছুদিন ধরে পরকীয়া সম্পর্ক চালাচ্ছিল, এতে আমাদের পাড়ার পরিবেশ নষ্ট হতে বসেছিল, তাই পাড়ার সকলে মিলে একত্রিত হয়ে তাদের হাতেনাতে ধরে ফেলি এবং তারা দুজনে স্বীকার করে নেয় সবকিছু। প্রথমে তারা ভাই বোনের সম্পর্ক দিলেও পরে তারা তাদের প্রেমের সম্পর্ক স্বীকার করে নিয়েছে। তাই আমরা সকলে মিলে রশিদপুরে একটি স্থানীয় মন্দিরে নিয়ে গিয়ে তাদের বিয়ে দেওয়া হল।