মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ধুমধাম করে পালিত হল ৩৬ তম চরক পূজা এবং পূজোকে কেন্দ্র করে বসেছে মেলা করণদিঘীর কৃষাণ মান্ডির মাঠে । কথিত আছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বান রাজা তার প্রজাদের মঙ্গলের জন্য দেশের মঙ্গলের জন্য এই পূজা সবার প্রথম চালু করেন, যা বহু প্রাচীন এবং পরবর্তীতে বান রাজার আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে এই পূজা বৃহৎ আঁকার ধারণ করেছে এবং করণদিঘীর কৃষাণ মান্ডির মাঠে ৩৬ বছর থেকে পালিত হয়ে আসছে এই চড়ক পুজো। বিশেষত চৈত্র মাসের সংক্রান্তি তিথিতে এই পুজো অনুষ্ঠিত হয়, তবে পুজোর কোনরকম ত্রুটির বা ভক্তদের সমস্যার কারণের ফলে যদি ভক্তবৃন্দদের কোনরকম অনিষ্ট হয় তার জন্য বৈশাখ মাসের শেষে তিথিকে বেছে নিয়ে পুজো করা হয় । গত ৩৫ বছর ধরে একটি চড়ক গাছে চড়ক পুজো হতো এই বছর করণদিঘীর বিধায়ক গৌতম পালের উদ্যোগে দুটো চড়ক গাছ করা হয়েছে এবছর আরো বৃহৎ আকার ধারণ করলো এই পুজো এবং সাধারণ মানুষের হাজার হাজার মানুষের ভিড় পুজোকে কেন্দ্র করে। এদিনের এই পুজো ও মেলা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উত্তর দিনাজপুর জেলা পরিষদের সভাধিপতি পম্পা পাল, করণদিঘীর বিধায়ক গৌতম পাল, করণদিঘী সার্বজনীন চরক উৎসব কমিটির সদস্য গন উত্তম পাল, সনাতন পাল, ভবেশ পাল, হরিশ চন্দ্র সিনহা, সহ এলাকার বিশিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। আসুন শুনে নেওয়া যাক পুজোর প্রধান সন্ন্যাসী বিরেন মহন্ত আর কি কি জানালেন এই প্রসঙ্গে।