গঙ্গারামপুর ১৪ জুলাই দক্ষিণ দিনাজপুর।গলায় ফাঁস লাগিয়ে ৯০ বছরের এক বৃদ্ধা আত্মহত্যা করল। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বুনিয়াদপুর পুরসভার ২নম্বর ওয়ার্ড শেরপুর এলাকায়। পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ওই বৃদ্ধার নাম শোভা ঘোষ, বয়স ৯০ বছর। বাড়ি বুনিয়াদপুর শহরের ২নম্বর ওয়ার্ড শেরপুর এলাকায়। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে আনুমানিক ২ টা ৩০ মিনিট নাগাদ বাড়ির পিছন দিকে বারান্দার সঙ্গে দড়ি দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে।পরিবার সূত্রে খবর বৃদ্ধার জন্ম হয়েছিল বাংলাদেশে ১৯৭১ সালে। দেশ স্বাধীন হবার পর বৃদ্ধা বাংলাদেশ থেকে ভারতের দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় এসে বসবাস করতেন।ওই বৃদ্ধার বুনিয়াদপুর শহরের ২নম্বর ওয়ার্ড শেরপুরে বিয়ে হবার পর ৬টি ছেলে সন্তান হয়। তার মধ্যে বড়ো ছেলে বহু দিন আগেই মারা গিয়েছেন। আড়াই মাস আগে মেজো ছেলেরও মৃত্যু হয়। দুই ছেলের মৃত্যুর পর বৃদ্ধা শোকাহত ছিলেন ও ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছে বলে দাবি পরিবারের সদস্যদের। কীভাবে বাড়ির পিছনদিকে গিয়ে দড়ি দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়েছে তা সম্পূন্ন অজানা পরিবারের সদস্যদের। বৃদ্ধার ঝুলন্ত দেহ দেখতে পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে পরিবারের সদস্যরা।বৃদ্ধার এরকম ঝুলন্ত দেহ দেখে কান্নায় ভেঙে পড়ে পরিবারের সদস্যরা। খবর দেওয়া হয় বংশীহারী থানায়।বংশীহারী থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে বৃদ্ধাকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে রশিদপুর গ্রামীণ হাসপাতালে। রশিদপুর গ্রামীণ হাসপাতালে ভারপ্রাপ্ত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা করার পর বৃদ্ধাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তে পাঠিয়ে পুরো ঘটনা তদন্ত শুরু করেছেন। এবিষয়ে বৃদ্ধার ছেলে অখিল ঘোষ জানিয়েছেন, মেজদার মৃত্যু হয়েছে আড়াই মাস আগে। তারপর থেকে মা ভারসাম্যহীন অবস্থায় ছিলেন।কখন কি করতেন নিজেই বুঝতে পারতেন না।এদিন বেলা আড়াইটা নাগাদ বাড়ির পিছন দিকে বারান্দার চালিতে বাসের সঙ্গে দড়ি লাগিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।দেখতে পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মাকে রশিদপুর হাসপাতালে নিয়ে আসলে হাসপাতালের চিকিৎসক মাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তে পাঠিয়ে পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।