প্রতিবছরের মত এ বছরও মহরম উপলক্ষে জমজমাট লাঠি খেলার প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হলো বংশীহারী ব্লকের নেংড়াপীর মাজার প্রাঙ্গনে। মহরম খেলাকে কেন্দ্র করে সাত দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত হয় মেলা। এদিনের এই অনুষ্ঠানে প্রচুর মানুষ নেংড়াপীর মাজারে মানত করে সিন্নি ভোগ দেয় বহু মানুষ।
মহরম উপলক্ষে জমজমাট লাঠি খেলার প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয় নেংড়াপীর মাজার প্রাঙ্গণে। বৃহস্পতিবার দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বংশীহারী থানার অন্তর্গত নেংড়াপীর মাজার ময়দানে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে লাঠি খেলা প্রতিযোগিতা শুরু হয়। এতে বংশীহারী ব্লকের মোট ৮ থেকে ১০ গ্রামের লাঠি খেলার দল অংশগ্রহণ করে। প্রতিটি দলের বিভিন্ন বয়সীদের লাঠিখেলা ও কসরত প্রদর্শন দেখতে সাধারণ মানুষের ভিড় উপচে পড়ে। বিশেষ করে মহিলাদের থেকে শুরু করে যুবক ও বয়স্ক ব্যক্তিদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো।মহরম খেলাকে কেন্দ্র করে তিন দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত হয় মেলা। এদিনের এই অনুষ্ঠানে প্রচুর মানুষ নেংড়াপীর মাজারে মানত করে সিন্নি ভোগ দিতে ভিড় জমায় বহু মানুষ। লাঠি খেলার প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত ভালো বাজনাদারদের প্রথম হিসাবে ঘোষণা করেন। এদিনের এই মেলায় গৌলগামকে বাদ নাও খেলার দিক থেকে প্রথম বর হিসেবে ঘোষণা করেন কমিটি। এদিনের এই মহরম খেলা অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন ক্রেতা ও সুরক্ষা দপ্তরের মন্ত্রী বিপ্লব মিত্র। এছাড়াও এদিন উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি সুভাষ ভাওয়াল বংশীহারী পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি গণেশ পোশাক। মহরম কমিটির সভাপতি সরফরাজ আলী, মহরম কমিটির মতোয়াল্লি আবুল কালাম আজাদ চৌধুরী সহ একাধিক সদস্যরা। মেলাকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য পুলিশ প্রশাসন সহ কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এই বিষয়ে নেংড়াপীর মাজার কমিটির সভাপতি সরফরাজ আলী ও মতোয়াল্লি আবুল কালাম আজাদ চৌধুরী জানিয়েছেন প্রতি বছরের মত এ বছরও নেংড়াপীর মাজার কমিটির পক্ষ থেকে লাঠি খেলার মাধ্যমে মেলার আয়োজন করা হয়। এই মেলা দেখতে প্রচুর মানুষ বহুদূরান্ত থেকে ছুটে আসেন। এই খেলা কে কেন্দ্র করে সাত দিনব্যাপী মেলার আয়োজন করা হয়। পুলিশ প্রশাসন এর পাশাপাশি কমিটির সদস্যরা সরজমিনে উপস্থিত থাকেন যাতে কোন দুর্ঘটনা না ঘটে। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার মধ্যে নামকরা মহরম মেলা হয়।