স্কুলে শিক্ষকের মারধরের অভিযোগে গ্রামবাসীদের বিক্ষোভ! তালা ঝুলিয়ে উত্তাল কড়ই চেঁচড়া!”

0
50

স্কুলে শিক্ষকের মারধরের অভিযোগে গ্রামবাসীদের বিক্ষোভ! তালা ঝুলিয়ে উত্তাল কড়ই চেঁচড়া!”

বালুরঘাট, ৪ ফেব্রুয়ারী —–তপন ব্লকের কড়ই চেঁচড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে মঙ্গলবার ঘটে গেল এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা, যা পুরো এলাকার মধ্যে তোলপাড় সৃষ্টি করেছে। স্কুলের প্রধান শিক্ষক সুবীর কুমার দাসের বিরুদ্ধে ছাত্রদের বেধড়ক মারধরের অভিযোগ তুলে উত্তাল হয়ে ওঠে গ্রামবাসীরা। তাদের দাবি, শিক্ষক ছাত্রদের পড়াশোনা না পারলেও, কিংবা পারলে, যেকোনো কারণে তাদের উপর শারীরিক নির্যাতন চালান। ছাত্রদের মতে, প্রধান শিক্ষক প্রায়ই বলতেন, “কলমের চেয়ে লাঠির ক্ষমতা বেশি।”

এদিন যার প্রতিবাদে গ্রামবাসীরা স্কুলের গেটে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন, যা সবার নজর কাড়ে। এই বিক্ষোভের পেছনে রয়েছে দীর্ঘদিনের ক্ষোভ, যেখানে ছাত্রদের অভিযোগ—শিক্ষক পড়াশোনা করতে না পারলে মারধর করেন, আবার যারা পড়া করে আসে তাদেরও নিরাপদে থাকতে দেওয়া হয় না। সায়ন বসাক, রৌনক বসাক সহ ছাত্ররা জানান, প্রধান শিক্ষক তাদের মারধর করেছেন এবং নানা ধরনের হুমকি দিয়েছেন।

এদিন যে ঘটনার খবর পেয়ে তপন থানার আইসি জনমারি ভিয়ান্না লেপচার নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর পর পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হয়। তবে, গ্রামবাসীদের ক্ষোভ ছিল তীব্র। তাদের অভিযোগ, এ ধরনের অত্যাচার বহুদিন ধরেই চলছিল, কিন্তু কোনো প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

স্কুলের পরিচালনা কমিটির সভাপতি তাপস বসাক জানান, বিষয়টি নিয়ে একাধিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হচ্ছে, এবং গ্রামবাসীদের সঙ্গে আলোচনা চলছে সমস্যা মেটানোর জন্য।
প্রাক্তন উপপ্রধান বিদ্যুৎ বসাকও এই ঘটনাকে ভুল বোঝাবুঝি বলে দাবি করেছেন এবং আশা প্রকাশ করেছেন যে, আলোচনা করেই সমস্যা সমাধান করা হবে।

জানা গেছে কড়ই চেচড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে বর্তমানে ছাত্র-ছাত্রী সংখ্যা ৩৬৫ জন, শিক্ষক-শিক্ষিকা মিলে মোট ১৮ জন, তবে অভিযোগ উঠেছে যে, প্রধান শিক্ষক এই স্কুলে প্রায়ই ছাত্রদের ওপর অত্যাচার চালান, যা আর সহ্য করা যাচ্ছে না। গ্রামবাসীরা হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, যদি প্রশাসন এ বিষয়ে কোনো কার্যকর ব্যবস্থা না নেয়, তবে তারা আরও বৃহত্তর আন্দোলন শুরু করবেন।

এ ঘটনা শুধু কড়ই চেঁচড়া এলাকার নয়, বরং গোটা শিক্ষা ব্যবস্থার দিকে আলোকপাত করছে। শিক্ষকদের আচরণ, ছাত্রদের নিরাপত্তা এবং শিক্ষার পরিবেশ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এভাবে শিক্ষক ও ছাত্রদের মধ্যে শাসন এবং শৃঙ্খলা বজায় রাখা কতটা সঠিক, তা নিয়ে সমাজের বিভিন্ন মহলে আলোচনা শুরু হয়েছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here