হরিরামপুরে হাসপাতালের বেডে শুয়ে অংক পরীক্ষা দিলেন এক ছাত্রী

0
75

হরিরামপুরে হাসপাতালের বেডে শুয়ে অংক পরীক্ষা দিলেন এক ছাত্রী

শীতল চক্রবর্তী বালুরঘাট ১৫ ফেব্রুয়ারি ।অসুস্থ হয়ে গ্রামীণ হাসপাতালের পরীক্ষা দিলেন এক মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী।দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার হরিরামপুর গ্রামীণ হাসপাতালে ওই ছাত্রীর পরীক্ষা দেবার ব্যবস্থা করেন স্কুল, পুলিশ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।এদিন নির্বিঘ্নে নিজের মনের জোর নিয়েই ওই ছাত্রী পরীক্ষা দেয় ।ছাত্রীটির মা ও তার মামা জানিয়েছেন, আমরা ওর পাশে থেকে উৎসাহ জুগিয়েছি। হাসপাতালের ব্লক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের অধিকারিক জানিয়েছেন,”ওই ছাত্রীকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হয়েছে”। পরীক্ষা শেষে ছাত্রী জানালো,”পরীক্ষা ভালোই হয়েছে। সহযোগিতা করার জন্য সকলকে ধন্যবাদ জানাই”।
হরিরামপুর ব্লকের এএসডিএম উচ্চ বিদ্যালয়ের দানোগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী(শিরশি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার নর্দাস গ্রামের বাসিন্দা)নাম সুলতানা পারভীন(১৬), দানগ্রাম হাইস্কুলের ওই ছাত্রীর সেদিন অংক বিষয়ের পরীক্ষার আসন পড়েছিল।হঠাৎ করে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যার কারণে অসুস্থ হয়ে পড়ে সে।স্কুলের প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গীর মিঞা নিয়ে বিষয়টি জানার পরেই পরীক্ষার দায়িত্বে থাকা কর্মীদের সহায়তায়,একজন এলসি সহ ভ্রাম্যমাণ কর্মকর্তা তাকে হরিরামপুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে আসেন। যাতে সে হাসপাতালে তার পরীক্ষা লিখতে পারে এবং সেখানে পুলিশ প্রহরীর উপস্থিতিতে সে হাসপাতালে বেডে বসে পরীক্ষা দেয়। ছাত্রীর পরিবার সূত্রে জানা গেছে ,তারা চার ভাই বোনের মধ্য সুলতানা বড়।বাবা রফিকুল আলম ভিনদেশে কাজ করেন। প্রশাসনের তরফে পুরো বিষয়টি জানানো হয় সুলতানা পারভীনের মা আজমীরা খাতুন ও তার মামা দেলোয়ার হোসেনকে।তারাও হাসপাতালে ছুটে এসে তাকে উৎসাহ দেন। হরিরামপুর ব্লক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের আধিকারিক অনিরুদ্ধ চৌধুরী জানিয়েছেন,”বিষয়টি জানার সঙ্গে সঙ্গেই ওই ছাত্রীকে হাসপাতালেই অংক পরীক্ষা দেওয়া যাবতীয় ব্যবস্থা করা হয়। ভালোভাবে পরীক্ষা দিয়েছে সে”। ছাত্রী সুলতানা পারভীনের মা আজমীরা খাতুন ও মামা দেলোয়ার হোসেনেরা জানিয়েছেন,”ওর মনের জোর দেখি আমরা অবাক হয়েছি।স্কুল পুলিশ,ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সব ধরনের সহযোগিতা করেছে বলে তাদের ধন্যবাদ জানাই”। অংক পরীক্ষা দেওয়ার শেষে ছাত্রী সুলতানা পারভীন জানিয়েছেন,”মনের জোর একটা প্রবল শক্তি।ধন্যবাদ জানাই এমন সহযোগিতা করার জন্য”। অতিরুক্ত পুলিশ সুপার গ্রামীন ইন্দ্রজিৎ সরকার জানিয়েছেন,” থানার আইসি উদ্যোগ নিয়ে সহযোগিতা করেছে ওই ছাত্রীর পরীক্ষা দেওয়ার।আমরা এমন কাজ সবসময় করে যাব”। সুলতানার মতো একজন মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী মনের জোরে অনেক কিছুই করতে পারে তা আরো একবার করলেন তিনি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here