পিন্টু কুন্ডু , বালুরঘাট, ১৮ জুলাই:-মাধ্যমিকের পর উচ্চমাধ্যমিকেও নজরকাড়া সাফল্য বালুরঘাটের ললিত মোহন আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী নিবেদিতা শীলের। মেধা তালিকা প্রকাশিত না হলেও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় এবারে ৪৯২ নম্বর পেয়ে রাজ্যের সেরা দশে জায়গা করে নিয়েছে হিলির টিভি মেকানিকের মেয়ে ওই মেধাবী ছাত্রী। পারিবারিক অনটন মাধ্যমিকের পরই নিবেদিতার উচ্চ শিক্ষায় বাধা হয়ে দাড়িয়েছিল। যদিও সেই খবর সংবাদমাধ্যমে উঠে আসবার পরেই নিবেদিতার পাশে দাড়িয়ে তার পড়াশুনায় সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন কলকাতার এক সহৃদয় ব্যক্তি। উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত সেই সহায়তায় পড়াশোনা চালালেও, আগামীতে তার চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন পূরণে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে সেই পরিবারের আর্থিক সমস্যা। এমত অবস্থায় কোন সরকারি ও বেসরকারি সহায়তার দিকেই তাকিয়ে রয়েছে নিবেদিতা শীলের পরিবার।
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া হিলি ব্লকের পশ্চিম আপতৈরের বাসিন্দা পেশায় টিভি মেকানিক রতন শীলের মেয়ে নিবেদিতা শীল। মাধ্যমিকে ভালো ফল হওয়ায় কলকাতার রামমোহন কলেজের অধ্যাপক সানোয়ার মোল্লা তার পড়াশোনার দায়িত্ব নিয়েছিলেন। সংবাদমাধ্যমে খবর দেখে ওই সহৃদয় ব্যক্তি বইপত্র এবং পড়াশোনার খরচ বহন করেছিলেন। দুই বছর পর উচ্চমাধ্যমিকে তার এমন সাফল্যে খুশি সানোয়ারবাবুও। তবে আগামী দিনে চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন রয়েছে মেধাবী ছাত্রী নিবেদিতা শীলের।
নিবেদিতা শীল জানিয়েছেন, তার পরীক্ষার ফলাফল আশানুরূপ হয়েছে। আগামী দিনে সে ডাক্তারি পড়ে চিকিৎসক হতে চায়। কিন্তু পরিবারের অনটনে কিভাবে তার স্বপ্ন পুরন হবে তা ভেবেই যেন কুলকিনারা পাচ্ছেন না।
মেধাবী ছাত্রীর বাবা রতন শীল ও মা জানিয়েছেন, মেয়েকে পড়ানো তাদের ভীষণ ইচ্ছে রয়েছে। তবে আর্থিক সংকট বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। মাধ্যমিকের পর ঠিক এমন দুশ্চিন্তায় ঘুম উড়েছিল তাদের। কিন্তু কলকাতার অধ্যাপক সানোয়ার মোল্লা তার মেয়ের পড়াশুনায় সবরকম ভাবে সহযোগিতা করেছেন। আর তাই আবারো সে ভালো ফলাফল করেছে। এখন মেয়ের ডাক্তার হবার স্বপ্নপুরনে যদি কেউ সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয় তবে তারা খুবই উপকৃত হইবে।
অধ্যাপক সানোয়ার মোল্লা অবশ্য নিবেদিতার উচ্চ শিক্ষায় সবরকম ভাবে সহযোগীতার আশ্বাস দিয়েছেন।