তৃণমূল শিক্ষক নেতার লেখা সাত লাইনের চিঠিতে ৭টি বানান ভুল, নিন্দার ঝড় দক্ষিণ দিনাজপুরে। যোগ্য নেতৃত্বর অভাবেই এমন ঘটনা, কটাক্ষ দলেরই এক শিক্ষক নেতার

0
1419

পিন্টু কুন্ডু , বালুরঘাট, ৩ ফেব্রুয়ারী––– সাত লাইনের লেখা চিঠিতে সাতটি বানান ভুল তৃণমূল শিক্ষক নেতার । যোগ্য লোককে যোগ্য পদ না দিলে এমনই হয়, কটাক্ষ খোদ দলেরই এক শিক্ষক নেতার । শুধু বানান ভুলই নয়, পুরো চিঠির বাক্য গঠনেও ইংরাজীর মা-মাসী এক হয়েছে বলে অভিমত এক প্রাথমিক স্কুল শিক্ষকের। বুধবার জেলা তৃণমূলের শিক্ষক নেতা শুকলাল হাসদার ওই চিঠিকে কে রীতিমতো আলোড়ন ছড়িয়ে পড়েছে। শিক্ষক নেতার এমন চিঠি নিয়ে অস্বস্তিতে পড়েছেন খোদ জেলা নেতৃত্বরাও।

দলীয় সুত্রের খবর, চলতি মাসের ১৪ তারিখে ওয়েস্ট বেঙ্গল তৃণমূল টিচার্স অ্যাসোসিয়েশনের জেলা সম্মেলন রয়েছে গঙ্গারামপুরে । সেই উপলক্ষে বিভিন্ন সার্কেলে সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে ওই শিক্ষক সংগঠনের । যদিও তপন পুর্ব চক্রে বাদ রয়েছে সেই কর্মসূচী । কেননা ওই সার্কেলে পদের যিনি দায়িত্বে রয়েছেন তার হাত ধরে সঠিক সময়ে সন্মেলন হয়নি বলে অভিযোগ। আর যে কারনেই মৌনব্রত দে নামে অপর এক জনকে কনভেনরের দায়িত্ব দেওয়া হয় নেতৃত্বদের তরফে । যার উদ্দেশ্যেই গতকাল সংগঠনের প্যাডে একটি চিঠি দিয়েছেন জেলা সভাপতি শুকলাল হাঁসদা । ইংরেজীতে লেখা সাত লাইনের সেই চিঠিতে সাতটি বানান ভুলের ঘটনাকে ঘিরে রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে । এদিন সেই চিঠি সামনে আসতেই আলোড়ন ছড়িয়ে পড়েছে গোটা দক্ষিন দিনাজপুরে। একজন প্রাথমিক শিক্ষক তথা শিক্ষক নেতার এমন বানান ভুলে ভরা চিঠি কে ঘিরে উঠেছে জোর প্রশ্ন। তার কাছ থেকে ছাত্র-ছাত্রীরাই বা কি শিখবে আর সংগঠনের কর্মীরাই বা কতটা উপকৃত হবেন এদিনের ওই চিঠিকে ঘিরেই উঠেছে এমন একাধিক প্রশ্ন। ঘটনা জানবার পরে ওই শিক্ষক নেতার পাশে দাড়িয়ে খবরটি না করবার অনুরোধ জানিয়েছেন মৌনব্রত দে নামে এক শিক্ষকও।

কুমারগঞ্জের বাসিন্দা তথা পেশায় স্কুল শিক্ষক কমল কুমার বিশ্বাস জানিয়েছেন, এই লজ্জা শুধুমাত্র শুকলাল বাবুর একার নয়, সমগ্র শিক্ষক সমাজের। শুধুমাত্র বানান ভুলই নয়,পুরো চিঠিটির বাক্য গঠনেও ইংরাজীর মা-মাসী এক হয়েছে। প্রাথমিকের ছাত্র ছাত্রীরাও এসব ভুল করতো কিনা তা নিয়েও সংশয় রয়েছে।

যদিও ওই শিক্ষকনেতা শুকলাল হাঁসদা জানিয়েছেন, চিঠিটা তাঁর লেখা নয় । তাড়াতাড়ি করার জন্য তাঁর প্যাডে অন্য একজন শিক্ষককে দিয়ে লেখানো হয়েছিল।

সংগঠনের জেলা নেতা রাজনারায়ণ গোস্বামী জানিয়েছেন, চিঠিটা তিনি দেখেন নি এখনো । তবে যোগ্য লোককে যোগ্য জায়গায় না বসালে এমন ঘটনা আসা স্বাভাবিক বলেই তিনি মনে করেন ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here