জলপাইগুড়ি:- অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে হত্যা করে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল স্বামীর বিরুদ্ধে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের মন্ডল ঘাট এলাকায়। বিবরণে প্রকাশ, ২০১২ সালে সামাজিক মতে জলপাইগুড়ি সেনপাড়া ভাটাখানা এলাকার টুম্পা দাসের সাথে বিয়ে হয়েছিল মন্ডল ঘাট নন্দনপুর এলাকার হেমন্ত দাসের। বিয়ের পরই বিভিন্ন কারণে অশান্তি লেগে থাকত বলে মেয়ের বাড়ি সূত্রে খবর। সোমবার গভীর রাতে কোন কারণে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বচসা হলে আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে মেরে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দেয় বলে অভিযোগ করেন মেয়ের পরিবার। পরে জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক টুম্পা দাসকে (৩০) মৃত বলে ঘোষণা করেন। রাতেই খবর পেয়ে হাসপাতালে যান টুম্পা দাসের পরিবারের লোকজন। মঙ্গলবার অভিযুক্ত স্বামী হেমন্ত দাসকে আটক করেছে কোতোয়ালি থানার পুলিশ। টুম্পার দাসের ভাই গোপাল অধিকারি জানান, তার দিদিকে হত্যা করা হয়েছে। মেরে তাকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। যেহেতু জামাইবাবু কলকাতা পুলিশে কর্মরত, তাই পুলিশের প্রভাব খাটিয়ে কোন রকমভাবে যেনো শাস্তি থেকে সে না বাঁচতে পারে তার দাবি করেন তিনি। অন্যদিকে বাবা নারায়ণ অধিকারী অভিযুক্তের ফাঁসির দাবি করেছেন।
পাড়া প্রতিবেশীরাও কঠোর শাস্তির দাবি করেছেন অভিযুক্তের। অভিযুক্ত হেমন্ত দাসের নামে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন বলে মেয়ের পরিবার সূত্রে খবর। হত্যার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত হেমন্ত দাস, বাড়িতে একটু রাগারাগি হয়েছিল। তাই রাগের বশে স্ত্রী আত্মহত্যা করেছে বলে দাবি করেন তিনি। টুম্পা ও হেমন্ত দাসের সাড়ে ছয় বছরের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানার পুলিশ।