“নো ব্রীজ নো ভোট” মূলত এই দাবিকে সামনে রেখেই তুলে ভোট বয়কটের সিদ্ধান্ত নিয়ে গ্রামীণ বাঁশের সেতুর উপর দাঁড়িয়ে বিক্ষোভ দেখালো গ্রাম বাসিন্দারা।

0
645

উত্তর দিনাজপুর:-“নো ব্রীজ নো ভোট” মূলত এই দাবিকে সামনে রেখেই তুলে ভোট বয়কটের সিদ্ধান্ত নিয়ে গ্রামীণ বাঁশের সেতুর উপর দাঁড়িয়ে বিক্ষোভ দেখালো গ্রাম বাসিন্দারা। গ্রামপঞ্চায়েত থেকে শুরু করে বিধানসভা ও লোকসভা ভোট একের পর এক পার হলেও গ্রামের সেতু নির্মান না হওয়ায় এবারের বিধানসভা নির্বাচনে ভোট বয়কটে অনড় গ্রামের কয়েক হাজার বাসিন্দা।

একটা সেতু হলে ত্রিশ কিলোমিটার রাস্তা কমে গিয়ে দাঁড়াবে মাত্র আট কিলোমিটারে, উপকৃত হবে ৩০০ গ্রামের লক্ষাধিক মানুষ। এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, ভোট আসে ভোট যায় নদীর উপর সেতু তৈরি নিয়ে শুধুই হয় রাজনীতি, তাদের আর দুর্ভোগ শেষ হয়না। তাই এবার সেতু না হলে রাজ্য বিধানসভা ভোটে ভোট বয়কটের ডাক দিলেন রায়গঞ্জের শেরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিস্তীর্ণ এলাকার হাজার হাজার বাসিন্দা। উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জ ব্লকের ৫ নম্বর শেরপুর গ্রামপঞ্চায়েতের খলসিঘাটে কুলিক নদীর উপর আজও সেতু না হওয়ায় আসন্ন বিধানসভা ভোটের আগে বিক্ষোভ দেখায় গ্রামের বাসিন্দারা। উত্তর দিনাজপুর জেলাপরিষদের কর্মাধ্যক্ষ পূর্নেন্দু দে জানিয়েছেন, আমরা গিয়ে গ্রামবাসীদের বোঝানোর চেষ্টা করা হবে। প্রশাসনকে বিষয়টি জানানো হবে বলে জানান র্পূনেন্দবাবু।

আগামী ২২ এপ্রিল উত্তর দিনাজপুর জেলার হেমতাবাদ বিধানসভা কেন্দ্রের ভোট। এই বিধানসভার শেরপুর গ্রামপঞ্চায়েতের খলসিঘাটের উপর দিয়ে বয়ে গিয়েছে কুলিক নদী। এই কুলিক নদীর দুইপাড়ে রয়েছে শেরপুর, গোবিন্দপুর, লাইনপাড়া, ডাঙ্গিপাড়া, বরমপুর, খোকসা, গামাডাঙ্গি, বিন্দোল, খলসি, মেহেন্দিগ্রাম সহ প্রায় তিনশটি গ্রামের লক্ষাধিক মানুষ। প্রতিদিন প্রায় ৫০ হাজার মানুষ কুলিক নদী পাড়াপার করেন। জেলা সদর রায়গঞ্জ শহর আসা থেকে শুরু করে বিডিও অফিস, রায়গঞ্জ গভর্মেন্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সহ বিভিন্ন কাজে শহরে আসতে গেলে এই নদী পার হয়ে আসাযাওয়া করতে হয়। বর্ষায় দুকূল ছেপে যাওয়া নদী পার হতে একমাত্র ভরসা নৌকা আর শুকনোর দিনে বাঁশের সাঁকো। এলাকার বাসিন্দারা অভিযোগ করে বলেন, মাত্র ৮ কিলোমিটার দূরে জেলা সদর রায়গঞ্জ শহরে যেতে সেতু না থাকায় ঘুরপথে প্রায় ৪০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে হয় তাঁদের। এতে একদিকে যেমন সময় বেশি লাগার কারনে অনেক রোগীর মৃত্যুও হয়ে গিয়েছে। তাই এবার গ্রামবাসীরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি ব্রিজ না হলে ভোট দিব না।বাসিন্দাদের আরও অভিযোগ সব রাজনৈতিক দলই এই খলসিঘাট সেতু নিয়ে রাজনীতি করে চলেছে। প্রতিবার পঞ্চায়েত থেকে বিধানসভা কিংবা লোকসভা ভোট আসে, ভোটের আগে প্রতিশ্রুতি দিয়ে যায় ভোট পার হলেই আর সেতুর কথা কারও মনে থাকেনা। বছরের পর বছর চরম বঞ্চনার শিকার হয়ে আসছেন তাঁরা। এবার তাঁরা আর চুপ করে বসে থাকবেন না। সেতু না হলে এবার আসন্ন বিধানসভার ভোট বয়কট করা হবে। পাশাপাশি গ্রামবাসীরা আরও বলেন কোন রাজনৈতিক দল গ্রামে প্রচারে আসতে তাদেরকে গ্রামের ভেতরে ঢুকতে দেওয়া হবে না। এলাকায় সেতুর জন্য ভোট বয়কটের বিষয় নিয়ে উত্তর দিনাজপুর জেলাপরিষদের কর্মাধ্যক্ষ পূর্নেন্দু দে জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন ধরে প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পরেও ওই ব্রিজ হয়নি বলে গ্রামবাসীদের মধ্যে খোভ সৃষ্টি হয়েছে। আমরা গিয়ে গ্রামবাসীদের বোঝানোর চেষ্টা করা হবে। প্রশাসনকে বিষয়টি জানানো হবে বলে জানান র্পূনেন্দবাবু।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here