ভোটের ঠিক একদিন আগে ” বাঁধছি জোট দেবনা ভোট, নো ব্রীজ নো ভোট” মূলত এই দাবিকে সামনে রেখেই তুলে ভোট বয়কটের সিদ্ধান্ত নিয়ে গ্রামীণ বাঁশের সেতুর উপর দাঁড়িয়ে বিক্ষোভ দেখালো গ্রাম বাসিন্দারা।

0
437

উত্তর দিনাজপুর:-ভোটের ঠিক একদিন আগে ” বাঁধছি জোট দেবনা ভোট, নো ব্রীজ নো ভোট” মূলত এই দাবিকে সামনে রেখেই তুলে ভোট বয়কটের সিদ্ধান্ত নিয়ে গ্রামীণ বাঁশের সেতুর উপর দাঁড়িয়ে বিক্ষোভ দেখালো গ্রাম বাসিন্দারা। আর নয় অনেক আন্দোলন করেও যখন গ্রামের সেতু নির্মান হয়নি তাই গ্রামবাসীদের বুকে লেখা স্লোগান ” আমিও ভোট দিচ্ছিনা আমার পরিবারও ভোট দেবেনা “। গ্রামপঞ্চায়েত থেকে শুরু করে বিধানসভা ও লোকসভা ভোট একের পর এক পার হলেও গ্রামের সেতু নির্মান না হওয়ায় আগামী ২২ এপ্রিল হেমতাবাদ বিধানসভার ভোট বয়কটে অনড় গ্রামের কয়েক হাজার বাসিন্দা।একটা সেতু হলে ত্রিশ কিলোমিটার রাস্তা কমে গিয়ে দাঁড়াবে মাত্র আট কিলোমিটারে, উপকৃত হবে ৩০০ গ্রামের লক্ষাধিক মানুষ। এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, ভোট আসে ভোট যায় নদীর উপর সেতু তৈরি নিয়ে শুধুই হয় রাজনীতি, তাদের আর দুর্ভোগ শেষ হয়না। প্রত্যেকবার ভোটের কদিন আগে সরকারিভাবে মাটি পরীক্ষা সহ সেতু নির্মানের নানান তদারকি দেখা যায় প্রশাসনের। কিন্তু ভোটপর্ব মিটে যেতেই আবার যেমনটা তেমনই অবস্থায় থমকে পড়ে। তাই এবার সেতু না হলে রাজ্য বিধানসভা ভোটে ভোট বয়কটের ডাক দিলেন রায়গঞ্জের শেরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিস্তীর্ণ এলাকার হাজার হাজার বাসিন্দা। উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জ ব্লকের ৫ নম্বর শেরপুর গ্রামপঞ্চায়েতের খলসিঘাটে কুলিক নদীর উপর আজও সেতু না হওয়ায় আগামী বৃহস্পতিবার ২২ এপ্রিল বিধানসভা ভোট বয়কটের সিদ্ধান্ত নিয়ে আন্দোলনে নামল আগে গ্রামের বাসিন্দারা। আগামী ২২ এপ্রিল উত্তর দিনাজপুর জেলার হেমতাবাদ বিধানসভা কেন্দ্রের ভোট। এই বিধানসভার শেরপুর গ্রামপঞ্চায়েতের খলসিঘাটের উপর দিয়ে বয়ে গিয়েছে কুলিক নদী। এই কুলিক নদীর দুইপাড়ে রয়েছে শেরপুর, গোবিন্দপুর, লাইনপাড়া, ডাঙ্গিপাড়া, বরমপুর, খোকসা, গামাডাঙ্গি, বিন্দোল, খলসি, মেহেন্দিগ্রাম সহ প্রায় তিনশটি গ্রামের লক্ষাধিক মানুষ। প্রতিদিন প্রায় ৫০ হাজার মানুষ কুলিক নদী পাড়াপার করেন। জেলা সদর রায়গঞ্জ শহর আসা থেকে শুরু করে বিডিও অফিস, রায়গঞ্জ গভর্মেন্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সহ বিভিন্ন কাজে শহরে আসতে গেলে এই নদী পার হয়ে আসাযাওয়া করতে হয়। বর্ষায় দুকূল ছেপে যাওয়া নদী পার হতে একমাত্র ভরসা নৌকা আর শুকনোর দিনে বাঁশের সাঁকো। এলাকার বাসিন্দারা অভিযোগ করে বলেন, মাত্র ৮ কিলোমিটার দূরে জেলা সদর রায়গঞ্জ শহরে যেতে সেতু না থাকায় ঘুরপথে প্রায় ৪০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে হয় তাঁদের। এতে একদিকে যেমন সময় বেশি লাগার কারনে অনেক রোগীর মৃত্যুও হয়ে গিয়েছে। তাই এবার গ্রামবাসীরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি ব্রিজ না হলে ভোট দিব না।বাসিন্দাদের আরও অভিযোগ সব রাজনৈতিক দলই এই খলসিঘাট সেতু নিয়ে রাজনীতি করে চলেছে। প্রতিবার পঞ্চায়েত থেকে বিধানসভা কিংবা লোকসভা ভোট আসে, ভোটের আগে প্রতিশ্রুতি দিয়ে যায় ভোট পার হলেই আর সেতুর কথা কারও মনে থাকেনা। বছরের পর বছর চরম বঞ্চনার শিকার হয়ে আসছেন তাঁরা। এবার তাঁরা আর চুপ করে বসে থাকবেন না। সেতু না হলে এবার বৃহস্পতিবারের বিধানসভার ভোট বয়কট করা হবে। শুধু তাই নয়, কেউ ভোট দিতে গেলে তাকেও ভোট না দেওয়ার জন্য বোঝানো হবে। ফলে কাল বাদে পড়শু ভোট ঠিক তার আগে আজ গ্রামবাসীদের ভোট বয়কট আন্দোলনে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here