তৃণমূলকে ভোট দিলে এনআরসি, এনপিআর হতে দেবেন না হরিরামপুরে হাই স্কুল ময়দানে সভা করে বললেন মুখ্যমন্ত্রী।

0
512

শীতল চক্রবর্তী,হরিরামপুর, ২১শে এপ্রিল, দক্ষিণ দিনাজপুর:-কেন্দ্রীয় সরকারের চরম অপদার্থতার জন্য দ্বিতীয় পর্যায়ে দেশে করোনার এমন ভয়াবহতা বলে অভিযোগ করেন মুখ্যমন্ত্রী। বুধবার দুপুরে দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটের সভা শেষ করার পর হরিরামপুর হাইস্কুল মাঠে বিপ্লব মিত্রের সমর্থনে সভা করতে এসে এমনই মন্তব্য করেন তিনি। সেখানেই তিনি কর্মীদের বলেন, আমাদের প্রার্থীদের ভোট দিলে রাজ্যে এনআরসি, এনপিআর হতে দেবোনা আর আপনাদের ভোটার লিস্টে নামটাও থাকবে আপনাদের। আমরা এবার ক্ষমতায় এলে জেলার পর্যটন বিকাশে তিনি যেমন কাজ করবেন, তেমনি দুর্গাপূজা ও রমজানের জন্য বাড়ির গৃহবধূদের ৫০০/১০০০ টাকা করে তিনি দেবেন বলে আশ্বাস দেন। এছাড়াও তিনি ক্ষমতায় আসলে বহু কাজ করবেন বলে আশ্বাস দেন। বেলা ১২ টার পরেই বালুরঘাটের সভা করে তিনি হেলিকপ্টারে করে হরিরামপুরে সভা করতে আসেন মুখ্যমন্ত্রী।

সেখানে হরিরামপুর বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী বিপ্লব মিত্রের সমর্থনে সভাতে বিপ্লব মিত্র ছাড়াও জেলা পরিষদের সভাধিপতি লিপিকা রায় মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন। হরিরামপুরের মুখ্যমন্ত্রীর সভার শুরুতেই তিনি বক্তব্য রাখতে গিয়ে অভিযোগ করে বলেন, বিজেপি লক্ষ লক্ষ লোক বাইরে থেকে নিয়ে আসে পড়না ছড়াচ্ছে বলে তিনি অভিযোগ করেন। আমরা তৃতীয়বারের জন্য সরকার গড়লে ৫ লক্ষ চাকরি দেব। দেড় কোটি বেকারদেড় শিল্প সংস্থায় কাজ দেব সরকার ক্ষমতায় এলে। ব্লকে ব্লকে ইংরেজি মাধ্যম স্কুল, রাজবংশীদের জন্য স্কুল, আদিবাসীদের জন্য অলচিকি ভাষায় স্কুল হবে। সাতটি ভাষায় স্কুল গড়ে তোলা হবে। বাংলাদেশ গুজরাট বানাতে দেব না’। বাংলাকে চালাবে দিল্লি বাংলাকে চালাবে না। বাংলা যেন বাংলায় থাক।

এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করে বলেন, নতুন করে করোনার আমদানি করল কেন্দ্রীয় সরকার। কোনরকম পরিকল্পনা না থাকার জন্য এমনটা হয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।এনআরসি এনবিআর করতে দেবো না, শুধু আমাদের ভোট দিন আমরা এইগুলি হতে দেবো না। মহিলাদের হাত খরচের জন্য সরকার ৫০০ থেকে ১০০০ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য 10 লক্ষ টাকার ক্রেডিট কার্ড করা হয়েছে। আগের ভোটে বিজেপি ভোট নিয়ে করোনা দিয়েছে, নোট বন্দি করেছে, রেল বন্ধ করে দিয়েছে। আরো দশ কোটি বেকার আগামী দিনে বিজেপি তৈরি করবে। ইভিএম মেশিন খারাপ হলে পরে ৩০টা ভোট দেবেন। করণাতে যদি কেউ আক্রান্ত হয় তাহলে বিকেল ছটার পরে ভোট দিতে পারবেন।

হরিরামপুরের তৃণমূল প্রার্থী বিপ্লব মিত্র জানিয়েছেন, মানুষজন উন্নয়নের সঙ্গে আছে। তাই আমাদের প্রার্থীদের ভোটে জয়লাভ করা সময়ের অপেক্ষা মাত্র। ১৭ মিনিটের বক্তব্য রাখার পরে মুখ্যমন্ত্রী চলে যাওয়ার পরে উপস্থিত দলীয় কর্মী-সমর্থকরা খেলা হবে গান নিয়ে নাচ গান শুরু করেন।

হরিরামপুরের মুখ্যমন্ত্রীর সভায় ভিড় হয়েছিল ব্যাপক।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here