গঙ্গারামপুর থানার সামনে বড়বাজারে তৃণমূলের দু’পক্ষে গোলমালে রণক্ষেত্রের চেহারা

0
695

গঙ্গারামপুর থানার সামনে বড়বাজারে তৃণমূলের দু’পক্ষে গোলমালে রণক্ষেত্রে চেহারা নিল, চালানো হলো উভয় পক্ষের তরফে 5 রাউন্ড গুলি, গ্রেফতার 6 উদ্ধার আগ্নেয়াস্ত্র


শীতল চক্রবর্তী, গঙ্গারামপুর, 29 এপ্রিল, দক্ষিণ দিনাজপুর:– ভোটের পরেই তৃণমূলের দু’পক্ষের গোলমালে রণক্ষেত্রের চেহারা নিল শহর গঙ্গারামপুর। দুই পক্ষের চরম গোলমালে উভয় পক্ষই 5 রাউন্ড গুলি চালায় বলে অভিযোগ। তৃণমূলের একপক্ষের একটি দোকান ও তার বাড়ি ভাঙচুর করা, মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়েছে বলে অভিযোগ। ঘটনার খোঁজখবর নিতে এক পক্ষের লোকজনের হাতে গণধোলাই খেয়ে অল্পের জন্য জীবনে বেঁচে যান রাজ্য তৃণমূল ছাত্র পরিষদের এক নেতা। পুলিশ অবশ্য এক পক্ষের কাছ থেকে একটি আগ্নেয়াস্ত্রসহ 6 জনকে আটক করে এলাকায় ব্যাপক পুলিশ মোতায়েন করে পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। বৃহস্পতিবার সকালে চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুর থানার সামনে বড় বাজার এলাকায়। কিছু সময় পর পরই ফের ঘটনাস্থলে ব্যাপক উত্তপ্ত হতে থাকে। বড় বাজারের ব্যবসায়ীরা ব্যবসা বন্ধ করে দিয়ে ঘটনার প্রতিবাদ জানায়। তৃণমূলের দু’পক্ষের মধ্যে ঝামেলা মেটাতে সেখানে ছুটে আসেন জেলা তৃণমূল সভাপতি গৌতম দাসও। পরিস্থিতির উপরে নজর রাখেন জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গ্রামীণ, গঙ্গারামপুরে মহকুমা পুলিশ আধিকারিক, থানার আইসি সহ বিরাট পুলিশ বাহিনীও।


গঙ্গারামপুর থানার বড় বাজার এলাকার ব্যবসায়ী তথা তৃণমূল সমর্থক ও ওম গুপ্তা এক ঘনিষ্ঠ দোকানে কাজ করা এক বাসিন্দাকে থানার সামনে বাসিন্দা তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী বাবু চৌধুরীর সঙ্গে বুধবার রাতে ঝামেলা হয়। সেখান থেকেই ঘটনার সূত্রপাত। সেখানেই বাবু চৌধুরীকে বড় বাজারের ওম গুপ্তা ও তার লোকজনকে মারধর করে বলে অভিযোগ। বুধবার এ ঘটনার পর সেই সময় তো আমিতে গেলেও অভিযোগ, বৃহস্পতিবার সকালে মুক্তার কাছ থেকে হত্যা না পেয়ে বাবু চৌধুরী তাকে মারধর করে বলে অভিযোগ কম গুপ্তার। এর পরেই বড়বাজার লোকজনেরা থানার সামনে বাবু চৌধুরীবাড়ী ও তার দোকান ভাঙচুর করে বলে খবর। ভাঙচুর করা হয় একটি মোটর বাইক। সেই সময় দুই তরফেই শূন্যে 5 রাউন্ড গুলি চালায় বলে জানা গিয়েছে। ততক্ষণে রণক্ষেত্রে চেহারা নেই থানার সামনে বড় বাজার এলাকায়। ব্যবসায়ীরা দোকানপাট বন্ধ করে দেয়। বিষয়টি খোঁজ নিতে এসে গঙ্গারামপুর এসব এলাকার বাসিন্দা তথা রাজ্য তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সাধারণ সম্পাদক কৌশিক সাহা এক পক্ষের লোকজন ব্যাপক মারধর করে বলে অভিযোগ । অল্পের জন্য জীবনের রক্ষা পায় পুলিশের তৎপরতায় বলে খবর।


ব্যবসায়ী তথা তৃণমূলের একপক্ষের সমর্থক ওম গুপ্তা অভিযোগ করে বলেন, বাবু চৌধুরী হপটার টাকা না পেয়ে এমন ঘটনা ঘটিয়েছে ।ওর বাড়িঘর ভাঙচুর করেছে জনগণ ক্ষুব্দ হয়ে ।অভিযোগ করেছে পুলিশ ব্যবস্থা নি সেটা চাই।

যদিও অমুক তার বিরুদ্ধে বাবু চৌধুরীর স্ত্রী পাল্টা তার স্বামীকে বিনা কারণে ওম ও তার লোকজন মারধর করেছে বলে অভিযোগ করেছেন। তিনি পাল্টা অভিযোগ করে বলেন ওম অন্যায় ব্যবসা করে। আমার স্বামী তার প্রতিবাদ করাতেই এমন অভিযোগ করা হচ্ছে। পিস্তল শহর বাই ধরা পড়েছে থানায় লিখিত অভিযোগ জানাবো।


এমন ঘটনার খবর পাওয়ার পরে সেখানে ছুটে আসে জেলা তৃণমূল সভাপতি গৌতম দাস ।পরে তিনি পুরো বিষয়টি খোঁজখবর নেন।

এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে গৌতম বাবু জানান, পুলিশকে বলা হয়েছে বিষয়টি তদন্ত করে দেখে সঠিক ব্যবস্থা নেই সেই দাবি জানায়।


এমন ঘটনার খবর পেতেই জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গ্রামীন, গঙ্গারামপুরের মহকুমা পুলিশ আধিকারিক, গঙ্গারামপুর থানার আইসি পূর্ণেন্দু কুমার কুন্ডু সহ বিরাট পুলিশ বাহিনী এলাকায় টহল দেয়। পরে পরে পুলিশ আগ্নেয়াস্ত্রসহ 6 জনকে আটক করে পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।


এমন ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক শোরগোল পড়েছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here