এক মহিলাকে আগুন ধরিয়ে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা অভিযোগ তার ছেলে ও ছেলে বউয়ের বিরুদ্ধে।

0
496

মালদা:-দীর্ঘদিন ধরে সম্পত্তি ও পারিবারিক বিবাদের জেরে এক মহিলাকে আগুন ধরিয়ে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা অভিযোগ তার ছেলে ও ছেলে বউয়ের বিরুদ্ধে। ঘটনায় অভিযুক্ত ছেলে, ছেলে বউ সহ আরও দু’জনের বিরুদ্ধে গাজোল থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন তার বাবা। ঘটনাকে কেন্দ্র করে রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে গাজোল ব্লকের বাসন্তী তলা এলাকায়। হাসপাতাল ও পরিবার সূত্রে খবর অগ্নিদগ্ধ ঐ বৃদ্ধার নাম ঊষা রায় (৬২)। রীতিমতো ঘর বন্ধ করে গায়ে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে মারার অভিযোগ উঠেছে তার ছেলে ও ছেলে বউয়ের বিরুদ্ধে। স্থানীয় বাসিন্দারা ঘটনাটি বুঝতে পেরে ছুটে এসে দরজা ভেঙে আগুন নিভিয়ে অগ্নিদগ্ধ অবস্থা থেকে ওই বৃদ্ধাকে উদ্ধার করে গাজোল গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখান থেকে তড়িঘড়ি তাকে স্থানান্তরিত করা হয় মালদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে গাজোল থানার পুলিশ। ওই বাড়ি থেকে আটক করা হয় তাদের ছেলে দিলীপ রায় ও তার স্ত্রী সুস্মিতা রায় কে।
ঘটনার বিবরণ দিতে গিয়ে অগ্নিদগ্ধ বৃদ্ধার স্বামী অভিযুক্তের বাবা সুরেন্দ্র চন্দ্র রায় স্থানীয় প্রতিবেশীরা জানান বিগত বেশ কিছুদিন ধরেই সম্পত্তির সহ পারিবারিক বিভিন্ন বিষয়ে কলহ লেগেই থাকত। এদিন তাদের ছেলে দিলীপ রায় তার বাবা-মাকে বাড়ি থেকে চলে যেতে বলেন না হলে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয় বলে অভিযোগ। বাড়ি থেকে না যাওয়াই ঘরবন্দি করে ঘরের দরজা বন্ধ করে বৃদ্ধ মাকে গায়ে আগুন লাগিয়ে মেরে ফেলার চেষ্টা করে তার ছেলে ও ছেলের বউ। স্থানীয় বাসিন্দারা ঘটনাটি দেখতে পেয়ে ছুটে এসে প্রথমে আগুন নেভান এরপর ওই মহিলাকে তড়িঘড়ি গাজোল গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তড়িঘড়ি তাকে স্থানান্তরিত করা হয় মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। অন্যদিকে জানা যায় ঘটনার সময় সুরেন্দ্র বাবু বাড়িতে না থাকার সুযোগ নিয়ে এই ঘটনা ঘটায় তার ছেলে। ঘটনার খবর পেয়ে তিনি ছুটে আসেন এবং তার স্ত্রীকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর মালদা রেফার করা হলে তিনি গাজোল থানায় ছেলে, ছেলে বউ ও আরো দুজনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নেমে অভিযুক্ত দিলীপ রায় ও তার স্ত্রী কে আটক করে গাজোল থানার পুলিশ। পুরো ঘটনাকে কেন্দ্র করে রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here