গঙ্গারামপুরের ইন্দ্রনারায়ন কলোনীর ইয়ুথ ক্লাবের তরফে ৫০তমবর্ষে খুঁটি পুজোর মধ্যে দিয়ে স্বাধীনতা দিবসের দিনে দূর্গা পুজোর কাজের সুচনা করা হয়
শীতল চক্রবর্তী ,গঙ্গারামপুর, ১৫আগস্ট, দক্ষিণ দিনাজপুর-৫০তম বর্ষে দুর্গা পুজোতে পরিবেশ সচেতন থিমকে তুলে ধরে বিরাট চমক দিতে চলেছে নামকরা একটি ক্লাবের সদস্যরা।দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুর পৌরসভার ৮নম্বর ওয়ার্ডের ইয়ুথ ক্লাবের তরফে ৫০তম বর্ষের অনুষ্টানে খুঁটি পুজোর মধ্যে দিয়ে স্বাধীনতা দিবসের দিনে দূর্গা পুজোর এমন সুন্দর থিমের অনুষ্টানের সুচনা করা হয়।সেখানে ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলার থেকে ক্লাবের বিশিষ্টজনেরা উপস্থিত ছিলেন।এবছরও যে এই ক্লাব গত বারের রাজ্য সরকারের জেলার সেরার পুরস্কার পাবে সে বিষয়টি সময়ের অপেক্ষা মাত্র।
গঙ্গারামপুর পুরসভার ৮নম্বর ওয়ার্ডের ইন্দ্রনারায়ণপুর কলোনীর ইয়ুথ ক্লাব দূর্গাপুজোতে প্রতি বছরই কিছু না কিছু আকর্ষন রেখে দেন।গত বছর দূর্গা পুজোতে করোনার বিষয়ে কিভাবে মানুষজনকে সচেতন করা যায় সেই থিমকে তুলে ধরে জেলার মধ্যে সেরা পুজোর সন্মান পেয়েছে।করা হয়েছিল করোনা বিধির নিয়ে মানুষজনকে সচেতনও।
এবছর ইয়ুথ ক্লাবের সদস্যারা ৫০তম বছর পদাপর্নে পরিবেশ সচেতন থিমকে তুলে ধরে কোভিড ১৯পরিস্থতিতে বাসিন্দাদের পাশে দাঁড়িয়ে ঠিক কি ধরনের কাজ করা দরকার তার সমস্ত থিম মালদা জেলার প্যান্ডেল শিল্পী তুলে ধরবেন। ক্লাবের তরফে তারা এই বিষয়টাকে সামনে রেখে সমাজকে বুঝাতে ও মানুষকে বিপদমুক্ত করতে এবছরের তাদের ক্লাবের থিম বিপন্ন প্রান,প্রান আজ বিপদগ্রস্থ প্রাধান্য
পেয়েছে।
স্বাধীনতা দিবসের দিনে খুঁটি পুজোর মধ্যে দিয়ে ইন্দ্রনারায়ণপুর কলোনীর ইয়ুথ ক্লাবের এবছরের দূর্গাপুজোর কাজের সুচনা করা হয়। পুরোহিতের মন্ত্র উচ্চারনের মধ্যে দিয়ে ক্লাবের তরফে কাজের সুচনা করা হয়।যেন করোনা কালে মানুষজন বেশি করে পরিবেশ সচেতন হন তাঁর জন্য এদিন থেকেই শিল্পীরা পুরোদমে পুজোর প্যান্ডেলের কাজ শুরু করেন।
সেখানে ৮নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলার তথা ক্লাবের অন্যতম সদস্য কাঞ্চন সেন,পৌর প্রশাসক বোর্ডের সদস্য তথা ক্লাবের অন্যতম সদস্য আশুতোষ ধর, ক্লাবের সম্পাদক রঞ্জিত ব্রহ্মা, অন্যতম সদস্য রবীন্দ্রনাথ দাস, ক্লাবের পুজো কমিটির সভাপতি চন্দন সেন, ক্লাব সদস্য প্রদীপ সাহা ক্লাবের বহু সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
৮নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলার তথা ক্লাবের অন্যতম সদস্য কাঞ্চন সেন জানিয়েছেন,করোনাকালেও মানুষজনকে আরো বেশী করে কিভাবে আমরা পরিবেশের উপরে সচেতন করতে পারি তাঁর জন্য এমন একটি থিম বেছে নেওয়া হয়েছে। মানুষজন যেমন সচতন হবেন তেমনি সকলেই সামাজিক দুরত্ববিধি মেনে পুজো দেখতে আনন্দও পাবেন।
গঙ্গারামপুর পৌর প্রশাসক বোর্ডের সদস্য তথা ক্লাবের অন্যতম সদস্য আশুতোষ ধর জানিয়েছেন, এমন পরিস্থতির সময়ে মানুষজন পরিবেশকে কিভাবে রক্ষা করবে সেই থিম আমরা তুলে ধরেছি।পাশাপাশি সরকারের সমস্ত করোনা বিধি মেনেই আমরা সকলকে সচেতন করার পাশাপাশি আনন্দ দেব।সমস্ত কাজে আমাদের সব সময় অনুপ্ররনা দিয়ে চলেছেন কাঞ্চন বাবু।পুজো নিয়ে ৫০বছরে থাকবে বিশেষ অনুষ্টানও।
মালদার প্যান্ডেল শিল্পী পিযুষ দাস ও নয়াবাজারের মৃৎ শিল্পী দ্বীপঙ্কর পালেরা জানিয়েছেন, এমন সময়ে এই থিম পরিবেশকে সচেতন করবে তা প্যান্ডেল ও প্রতিমাতে তুলে ধরা হয়েছে।যা মানুষজন সচেতন হবে ও আনন্দও পাবে তারা।
করোনাকালে মানুষজনকে যেমন সচেতন করা হবে তেমন এই ক্লাবের পুজো উদ্যাগতারা গাছকে বাঁচিয়ে রাখো, পরিবেশ রক্ষার জন্য কি করা দরকার সেই বিষয়গুলি তুলে ধরে এবছরও যে এই ক্লাব গত বারের রাজ্য সরকারের জেলার সেরার পুরস্কার পাবে সে বিষয়টি সময়ের অপেক্ষা মাত্র।