বৃদ্ধা আদিবাসী মহিলারর গলা টিপে, মারধর করে জোর করে ফিঙ্গার প্রিন্ট নিয়ে আবাস যোজনার টাকা তুলে নেওয়ার অভিযোগ যুব তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে, ওই তিন যুব নেতার বিরুদ্ধে দল ব্যবস্থা নেবে বলে আশ্বাস তৃণমূল নেতৃত্বের, প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি বলে কটাক্ষ বিজেপির
হরিশ্চন্দ্রপুর;১৭আগস্ট: বৃদ্ধা মহিলার গলা টিপে, মারধর করে জোর করে ফিঙ্গার প্রিন্ট নিয়ে তুলে নেওয়া হল এক আদিবাসী বৃদ্ধার আবাস যোজনার টাকা। থানায় অভিযোগ তিন যুব তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরে। তিন নেতার বিরুদ্ধে শাস্তি মূলক ব্যবস্থা নিচ্ছে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। মালদার হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রাম-পঞ্চায়েত এলাকার বাইশা গ্রামের ঘটনা। এই গ্রামের বাসিন্দা সাবিত্রী ওঁরাও পেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার প্রথম কিস্তির ৬০ হাজার টাকা।আধার লিঙ্ক যুক্ত তাঁর অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকতেই তাঁর কাছে হাজির হয় এলাকার তিন তৃণমূল নেতা। রফিক আলম, নারায়ণ কর্মকার এবং সোনু ভাস্কর। অভিযোগ তাঁরা হুমকির সুরে জানায়,তাঁদের বদান্যতায় এই টাকা তাঁর অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে। তাই প্রতি কিস্তিতে তাঁদের ভাগ দিতে হবে। বিষয়টি নিয়ে বৃদ্ধা প্রতিবাদ করলে তাঁরা হুমকি দিয়ে চলে যায়। দুদিন পরে ফের তাঁকে ঘরে একলা পেয়ে এক রকম জোর করেই রফিক আলমের বাড়ি নিয়ে যায়।সেখানে তাঁকে গলা চেপে ধরে তিন জনে মিলে মারধর করে তাঁর ফিঙ্গার প্রিন্ট নিয়ে সেই অ্যাকাউন্ট থেকে ১২ হাজার টাকা তুলে নেয় বলে অভিযোগ। আহত অবস্থায় কোন-ক্রমে বাড়ি ফিরলে তাঁর ছেলে তাঁর চিকিৎসা করায়।তবে এখনো অসুস্থ বৃদ্ধা। গ্রাম ছাড়া করানোর হুমকিও দিয়েছে অভিযুক্ত তৃণমূল যুব নেতারা বলে অভিযোগ পরিবারের, পাশাপাশি ভুগছেন আতঙ্কে। এরপরে তিনি হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় ওই তিন যুব তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। এই ঘটনায় শুরু হয়েছে রাজনৈতিক জলঘোলা। বিজেপি তীব্র সমালোচনা করেছে তৃণমূলের। যদিও জেলা তৃণমূলও এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ।এই তিন যুব নেতার বিরুদ্ধে দলগত ভাবে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার পাশাপাশি হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ যাতে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা নেয় সেই দিকেও নজর দিচ্ছে। তবে, তিন অভিযুক্ত যুব নেতার একজন সোনু ভাস্কর এই অভিযোগ ভিত্তিহীন বলেই দাবি করেছে।
হরিশ্চন্দ্রপুর থানার আইসি সঞ্জয় কুমার দাস জানান আমরা অভিযোগ পেয়েছি, পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।