শীতল চক্রবর্তী বুনিয়াদপুর ২৩আগষ্ট দক্ষিণ দিনাজপুরঃ-দুয়ারে সরকারের লক্ষ্মীভাণ্ডারের ফর্ম পুরনের জন্য বাড়ির মহিলাদের পৌরসভা থেকে সার্টিফিকেট নিতেই হবে বলে প্রচার করে পুরসভার ট্যাক্স তোলার অভিযোগ উঠেছে তৃণমুল পরিচালিত পৌরসভার চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অভিযোগ। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বুনিয়াদপুর পৌরসভার তৃণমুলের চেয়ারম্যান লক্ষ্মীভান্ডারের ফর্ম পুরনের জন্য রেজিডেন্সিয়াল ও ইনকাম ট্যাক্স সার্টিফিকেট নিতেই হবে বলে সকলের কাছে প্রচার করে দিয়েছেন গোপনে। অভিযোগ, পৌরসভাতে করোনা বিধিকে উধাও করে শহর এলাকার বাসিন্দাদের পৌরসভার কর জমা করা বাধ্যতামুলক করলেও যে নিয়ম রাজ্যের পাশাপাশি জেলার গঙ্গারামপুর ও বালুরঘাট পৌরসভার চেয়ারপার্সনেরা কোন দিন এমনটা করেননি বলে যানা গিয়েছে। বাসিন্দারা অবশ্য সাটিফিকেট না নিলে প্রকল্পের সুবিধে পাব না বলেই পৌরসভায় এসেছেন বলে জানিয়েছেন। সরকারি লক্ষ্মীভান্ডারের ফর্ম পুরণে পৌরসভার রেজিডেন্সিয়াল ও ইনকাম ট্যাক্সের সার্টিফিকেটের কোন দরকার নেই বলে প্রশাসন সূত্রে যানা গিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন বিরোধীরাও। যদিও পৌরসভার চেয়ারম্যান অবশ্য জানান, বহু দিন ধরেই বাসিন্দারা পৌরকর জর্মা করেনি তাই এখন নেওয়া হচ্ছে।
এমন ঘটনায় শোরগোল পরেছে বুনিয়াদপুর সহ জেলা জুড়ে।কিছুদিন আগে রাজ্যে সরকারের তরফে দুয়ারে সরকার প্রকল্পের মধ্যে দিয়ে বাসিন্দাদের সব ধরনের সুবিধা পাইয়ে দিতে উদ্যাগ নিয়েছে।শুরুতেই বেশ কিছু জায়গাতে ফর্ম বিলি করা নিয়ে টাকা তোলার অভিযোগ সামনে আসতেই সরকারের তরফে দুয়ারে সরকারের ক্যাম্পে গিয়েই ফর্ম নিতে হবে এবং তা জমা করার নির্দেশ জারি করা হয় সরকারের তরফে।এবছর লক্ষ্মীভান্ডার প্রকল্পে বাড়ির গৃহবধুরা যাদের বয়স ২৫ বছরের উপর থেকে ৬০বছরের কম বয় আছে তাঁরা সকলেই সাধারন জাতীদের জন্য প্রতিমাসে ৫০০টাকা ও তপশিলি জাতি ও উপজাতি সার্টিফিকেট ধারিদের জন্য মাসে ১০০০হাজার টাকা দেবার সিধান্ত নেওয়া হয়েছে। সরকারি নিয়মে ফর্ম পুরণ করতে নিজের এক কপি রঙ্গিল ছবি, মহিলাদের নামে থাকা স্বাস্থ্যসাথী কাড না থাকলে ক্যাম্প থেকে তৈরি করে পরে জমা দিলেও হবে) আধার কার্ড তপশিলি জাতি ও উপজাতি সাটিফিকেট সাধারন জাতী হলে তাঁদের লাগবে না। নিজের নামে থাকা ব্যাঙ্কের পাশ বুকের সমস্তটাই জেরক্স কপি সহ ক্যাম্প থেকে ফর্ম তুলে তা জমা দিতে হবে।সেখানে পৌরসভা থেকে রেসিডেন্সিয়াল বা ইনকাম ট্যাক্স সার্টিফিকেট জমা নেবার কোন প্রয়োজন নেই সরকারি নির্দেশিকা অনুসারে কিন্তু এমন পরিস্থতিতে এমনটা করছেন তা নিয়েই শুরু হয়েছে চরম বিতর্ক ।
অভিযোগ উঠেছে বুনিয়াদপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান তৃণমুলের অখিল চন্দ্র বর্মন ইতিমধ্যেই পৌরসভার ১৪টি ওয়ার্ডে এমন প্রচার লোকমুখে চালিয়ে দিয়েছেন যে লক্ষ্মীভান্ডার ফর্ম পুরন করতে গেলে পৌরসভা থেকে ইনকাম ট্যাক্স ও রেসিডেন্সিয়াল সার্টিফিকেট নিতেই হবে। অভিযোগ উঠেছে, বুনিয়াদপুর পৌরসভার তৃণমুলের চেয়ারম্যান অখিল চন্দ্র বর্মনের নির্দেশেই শহর এলাকার বাসিন্দারা তা পৌরসভাতে নিয়ে গেলেই তাঁদের কাছ থেকে পৌরকরের টাকা নিচ্ছে বলে অভিযোগ। মানা হচ্ছে না করোনা বিধিও বলে অভিযোগ। যদিও গঙ্গারামপুর ও বালুরঘাট পুরসভা এমনকি রাজ্যের কোন পুরসভাতে হয়নি বলেও যানা গিয়েছে।
শহর এলাকার বাসিন্দা কামনা সরকার, রুম্পা সরকার, রীতা সমাজদার, সুজন সরকার, ঝর্ণা হালদারেরা অভিযোগ করে বলেন, বুনিয়াদপুর পৌরসভা সমস্ত এলাকায় প্রচার করা হয়েছে যে, লক্ষ্মীভান্ডারের সুবিধে পেতে এই সার্টিফিকেট নিতেই হবে।তাই ভোর বেলা থেকে লাইনে দাঁড়াতে পৌরকর জমা করে সার্টিফিকেট নিয়ে যাচ্ছি যেন সেই প্রকল্পের সুবিধে পাই।
গঙ্গারামপুরের মহুকুমা শাসক মানবেন্দু দেবনাথ জানিয়েছেন এমনটা হবার কথা নয় তবে. লক্ষ্মী ভান্ডারের ফর্ম ও পুরাণে ইনকাম ও রেসিডেন্সিয়াল সাটিফিকেট লাহবে না পৌরসভা থেকে। আপনি বিষয়টি জানালেন আমি খোঁজ নিয়ে দেখছি আসলে কি হয়েছে।
সিপিএমের এরিয়া কমিটির সম্পাদক মোসাদ্দেক হোসেন অভিযোগ করে বলেন এই চেয়ারম্যান নিয়ম মানে না নিজের ইচ্ছেমত কাজ করে যান।এখানেও মানুষজনকে বিপদে ফেলে ভয় দেখিয়ে চেয়ারম্যান টাকা তোলার কাজে মজেছেন এটা পরিবর্তন হওয়া দরকার।
জেলা কংগ্রেস নেতা জানিয়েছেন, এটা বুনিয়াদপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান এমন সময়ে বাসিন্দাদের বাধ্য করে পৌরকর তুলছেন।এমনটা না হলেই ভালো হয়।
বিজেপির বুনিয়াদপুর টাউন মন্ডলের সভাপতি সুপ্রীয় দত্ত অভিযোগ করে বলেন, পৌরকর তোলার এমন কৌশল ঠিক না।মানুষজনদের সঙ্গে এমন ঘটনা করা ঠিক নয়।
বুনিয়াদপুর পৌরসভার তৃণমুলের চেয়ারম্যান অখিল চন্দ্র বর্মন জানিয়েছেন, বহু দিন ধরেই বাসিন্দারা পৌরকর জমা করেনি তাই এখন নেওয়া হচ্ছে। সব নিয়ম মেনেই করা হচ্ছে।
এমন ঘটনায় শোরগোল পরেছে বুনিয়াদপুর সহ জেলা জুড়ে।