পিন্টু কুন্ডু , বালুরঘাট, ২৫ আগষ্ট— স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর জেলা সফরের দিনেই ১০ বাংলাদেশীর অনুপ্রবেশ কে ঘিরে ধুন্ধুমার দক্ষিণ দিনাজপুর। সীমান্তে কর্তব্যরত মহিলা বিএসএফ জওয়ানের হাতে কামড় দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ ১০ বাংলাদেশী বৃহন্নলার বিরুদ্ধে। মারধরও করা হয়েছে ওই মহিলা জওয়ানদের বলেও অভিযোগ। বুধবার চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের হিলি ব্লকের। ঘটনার পরেই প্রায় ২৫ কিলোমিটার রাস্তা বাসের পিছু নিয়ে বালুরঘাট বাস স্ট্যান্ড থেকে ৬ অনুপ্রবেশকারীকে বিএসএফ আটক করলেও, বাকিরা অধরা রয়েছে। এদিন দুপুরে এমন ঘটনার খবর পেয়ে তড়িঘড়ি এলাকায় ছুটে যায় বালুরঘাট থানার পুলিশ।
বুধবার দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় স্বরাষ্ট্র দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের জেলা সফর কে ঘিরে কড়া পুলিশি নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয় সমগ্র এলাকা। এমন পরিস্থিতিতে সীমান্ত পেরিয়ে একসঙ্গে ১০ জন বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারীর পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় যথেষ্ট উদ্বিগ্ন জেলার বাসিন্দারা। প্রশ্ন চিহ্নে দাঁড়িয়েছে সীমান্তের নিরাপত্তা-ব্যবস্থাও। বিএসএফ সূত্রের খবর অনুযায়ী এদিন হিলি সীমান্তের উন্মুক্ত এলাকা দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করে বাংলাদেশি ১০ জন বৃহন্নলা। ঘটনার পর সীমান্তে প্রহরারত ৬১ নং ব্যাটেলিয়নের এক মহিলা বিএসএফ জওয়ান তাদের আটক করতে গেলে তাকে মারধর ও হাতে কামড় দিয়ে সেখান থেকে পালিয়ে যায় ওই অনুপ্রবেশকারী বৃহন্নলারা। যদিও পরবর্তীতে তাদের পিছু নিয়ে ৬১ নম্বর বিএসএফের জওয়ানরা বালুরঘাটে এসে ৬ জনকে আটক করলেও বাকিরা পালাতে সক্ষম হয়। বিষয়টি নিয়ে পুলিশ প্রশাসন অন্ধকারে থাকলেও এব্যাপারে সাংবাদিকদের কিছুই বলতে চাননি ৬১ নম্বর বিএসএফ কতৃপক্ষ। এদিকে ওই পলাতক বৃহন্নলাদের নিয়ে পুরো বালুরঘাট শহরজুড়ে তৈরি হয়েছে জঙ্গী আতঙ্ক। খোদ স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর জেলা সফরের দিনে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যদিয়ে কিভাবে ওই বাংলাদেশীরা ভারতে অনুপ্রবেশ করলো তা নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়েছে ৬১ নম্বর বিএসএফ ব্যাটেলিয়নের নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
যদিও স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামানিক জানিয়েছেন, অনুপ্রবেশের ঘটনা নতুন নয়। আগেও হয়েছে এখনো হচ্ছে। তবে তারা অনুপ্রবেশ বন্ধ করতে অন্তর্বর্তী সুরক্ষাকে আরো শক্তিশালী করবার উদ্যোগ নিচ্ছেন।