বালুরঘাট পুরসভার জাল চেক কান্ডে নতুন মোড়! উত্তর চব্বিশ পরগনা থেকে গ্রেফতার ফজলুর রহমান
পিন্টু কুন্ডু, বালুরঘাট, ২৮ ডিসেম্বর —— বালুরঘাট পুরসভার চেক জালিয়াতি কাণ্ডে এবার উত্তর চব্বিশ পরগনা থেকে ফজলুর রহমান নামে আরও এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করলো বালুরঘাট থানার পুলিশ। শনিবার তাকে বালুরঘাট জেলা আদালতে তোলা হলে বিচারক পাঁচ দিনের পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন। এর আগে একই মামলায় কলকাতার মুচিপাড়া এলাকা থেকে গ্রেফতার হন দুই অভিযুক্ত—মহম্মদ ইশাক ও ওয়াসিম আক্রম।
এই কেলেঙ্কারির সূত্রপাত হয় গত নভেম্বরে, যখন পুরসভার অ্যাকাউন্ট থেকে তিনটি জাল চেক ব্যবহার করে ১৪ লক্ষ ৪০ হাজার ৬৮ টাকা তুলে নেওয়া হয়। এই অর্থ বরাদ্দ ছিল শহরের বিভিন্ন ভবনের মেরামতির জন্য। পুরসভার চেয়ারম্যান অশোক মিত্রের দাবি, “আসল চেকগুলি অক্ষত অবস্থায় পুরসভার দপ্তরে ছিল, তাহলে কীভাবে এত বিপুল পরিমাণ অর্থ জাল চেক দিয়ে তুলে নেওয়া সম্ভব হলো?” এই ঘটনার পরেই পুরসভা বালুরঘাট থানা ও ব্যাংক অফ ইন্ডিয়ার বালুরঘাট শাখায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে।
পুলিশ যে ঘটনার তদন্তে নেমে প্রথমে মুচিপাড়া এলাকা থেকে মহম্মদ ইশাক ও ওয়াসিম আক্রমকে গ্রেফতার করে। তারপর তদন্তে উঠে আসে ফজলুর রহমানের নাম। যাকে গত শুক্রবার উত্তর চব্বিশ পরগনা থেকে গ্রেফতার করে বালুরঘাট থানার পুলিশ।
সরকারি আইনজীবী সঞ্জয় বিশ্বাস জানান, “ফজলুর রহমানকে পাচদিনের পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
যদিও এই ঘটনা নিয়ে বালুরঘাট পুরসভার চেয়ারম্যান অশোক মিত্র বলেন, বিষয়টি পুলিশি তদন্তের মধ্যে রয়েছে। আইন আইনের পথেই চলবে।
পুলিশ সূত্রে খবর, এই চক্র অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে জাল চেক তৈরি এবং ব্যবহার করত। তদন্তকারীরা এখন খতিয়ে দেখছেন, এই কেলেঙ্কারিতে আরও কোনো সরকারি কর্মকর্তা বা কর্মচারী জড়িত রয়েছে কি না।
এদিকে, বালুরঘাটে এই ঘটনার পর থেকেই জনমনে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, ব্যাংক ও পুরসভার সুরক্ষা ব্যবস্থায় ফাঁকফোকর থাকায় এমন একটি বিশাল অর্থ লোপাটের ঘটনা ঘটেছে। বালুরঘাট বাসীরা আশাবাদী যে, পুলিশের তদন্তে পুরো চক্রের পর্দাফাঁস হবে এবং চুরি যাওয়া অর্থ পুনরুদ্ধার করা সম্ভব হবে।