মাছ চাষে বিপ্লব আনতে চলেছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুরের এক যুবক

0
202

মাছ চাষে বিপ্লব আনতে চলেছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুরের এক যুবক।

বুনিয়াদপুর ২৯ ডিসেম্বর দক্ষিণ দিনাজপুর মাছ চাষে বিপ্লব আনতে চলেছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুরের এক যুবক। মীম ম্যাশ ফিশ ফিড নামক উন্নত মানের মাছের খাবার আবিষ্কার করে মাছ চাষে সাফল্য আনতে চলেছে এই যুবক। দক্ষিন দিনাজপুর জেলার বিভিন্ন ব্লকের রেকর্ড পরিমাণে মাছ চাষ করে থাকে মৎস্য চাষীরা। বর্তমানে মাছের খবরের দাম রেকর্ড পরিমাণে বৃদ্ধি পাওয়ায় এক প্রকার নাজে হাল মৎস্য চাষীরা। যার ফলে বহু মৎস্য চাষী বাধ্য হয়ে মাছ চাষ পথে, সেই সমস্ত মৎস্য চাষিদের কথা মাথায় রেখে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুর থানার রামপাড়া চেচড়া এলাকার এক শিক্ষিত যুবক মিনারুল খুব কম খরচে মৎস্য চাষে এক প্রকার বিপ্লব আনতে চলেছে। যার ফলে আশায় বুক বাদতে চলেছে দুস্থ মৎস্য চাষীরা।একদিকে যেমন বেকার যুবকেরা সরকারি চাকরির আশায় ছুটে চলেছে, অন্যদিকে রামপাড়া চাঁচড়া এলাকার যুবক মিনারুল অভিনব প্রতিষ্ঠান খুলে তাক লাগিয়েছে। এদিনের অনুষ্ঠানে মৎস্য চাষী দের নিয়ে একটি সেমিনারেরও আয়োজন করা হয়েছিল যেখানে মূলত মৎস্য চাষিরা কিভাবে মৎস্য চাষ করলে বেশি লাভবান হবে সেই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। এসমস্ত সামগ্রী দিয়ে মাছ চাষের খাবার তৈরি করার পরিকল্পনা চলছে। ২০২৫ সালের জানুয়ারি মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে বাজারে পেতে চলেছে স্বল্প খরচের মিম ম্যাশ ফিশ ফিড। আজকের বাজার দর অনুযায়ী যেখানে জলের উপরে ভাসমান মাছের খাবারের মূল্য এক কিলো প্রায় ৪৫ টাকা থেকে ৫০ টাকা লেগে যায়। এই খাবারই মিম ম্যাশ ফিশ ফিড বাজারে আসতে চলেছে মাত্র কুড়ি টাকা থেকে পঁচিশ টাকা কেজি দরের মধ্যে। এই খাবারের মূল্য কম হওয়ার কারণ এই প্রোডাক্ট নিজেরাই তৈর করতে চলেছে। যে কারণে এক্সট্রা কোন কেয়ারিং খরচা লাগছে না। এতে সুবিধা হবে মাছ চাষীদের থেকে শুরু করে ব্যবসায়ীদেরও। এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি সুভাষ ভাওয়াল, জেলা তৃণমূল শ্রমিক সংগঠনের অন্যতম নেতা মজিরুদ্দিন মন্ডল ওরফে ধলু এছাড়াও দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বিভিন্ন ব্লক থেকে আসা ছোট ও বড় মৎস্য চাষীরা। মিনারুল মূলত মেদিনীপুরের এক মৎস্য চাষীর মাছ চাষ দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে এই মিম ম্যাশ ফিশ ফিড নামক অভিনব মাছের খাবার আবিষ্কার করে মৎস্য চাষে বিপ্লব আনতে চলেছে।

এবিষয়ে তৃণমূলের জেলা সভাপতি সুভাষ ভাওয়াল জানিয়েছেন এটা কোন রাজনৈতিক প্রোগ্রাম নয়। আমাদের জেলারি এক শিক্ষিত যুবক মৎস্য চাষের বিপ্লব আনতে চলেছে এবং নিজেই তৈরি করছে উন্নত মানের মাছের খাবার। তাই আমরা সকলে মিলে চেষ্টা করছি কিভাবে তার পাশে থেকে তাকে সাহায্য করা যায়, মূলত সেই কারণেই আজকের এই অনুষ্ঠানে আমরা সকলে এসে উপস্থিত হয়েছি। জেলা তৃণমূল শ্রমিক সংগঠনের অন্যতম নেতা মজিরুদ্দিন মন্ডল ওরফে ধলু জানিয়েছেন,এমন অনুষ্ঠানে আসতে পেরে খুবই ভালো লাগছে।

এবিষয়ে এক মৎস্য চাষী তোফিজুদ্দিন মিয়া জানিয়েছেন, আজকে আমরা মিনারুল ভাইয়ের ডাকে সেমিনারে উপস্থিত হয়েছি, এখানে এসে সকলের কথা শুনে মনে হচ্ছে আমরা মাছ চাষে আরও বেশি লাভবান হতে পারব।যে খাবার বাজারে ৪৫ থেকে ৫০টাকা কেজি ধরে কিনতে হয় সেই খাবার এখন ২৫ টাকার মধ্যে আমরা পেতে চলেছি মিনারুল ভাইয়ের কাছ থেকে। যদি মাছের খাবার ভালো হয় তাহলে আমরা এখান থেকেই মাছের খাবার নিয়ে মাছ চাষ করে লাভবান হওয়ার আশা করছি।

এবিষয়ে উদ্যোক্তা মিনারুল ইসলাম জানিয়েছেন, মেদিনীপুরের এক মৎস্য চাষীর মাছ চাষ দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে আমার এই ব্যবসায় নেমেছি। আশা করছি আমাদের এই প্রোডাক্ট মৎস্য চাষীরা ব্যবহার করলে আমাদের জেলার সমস্ত মৎস্য চাষিরা মাছ চাষের ব্যাপক লাভবান হতে চলেছে। ২০২৫ সালের জানুয়ারি মাসের শেষ সপ্তাহের দিকে মাছের খাবার বাজারে আসতে চলেছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here