সিলিন্ডারে গ্যাস নয়, জল! ছ’মাসেও মেলেনি সুরাহা, ডিস্ট্রিবিউটরের অফিসে ক্রেতা সুরক্ষা দপ্তরের আচমকা হানা
বালুরঘাট, ৯ এপ্রিল ——— সিলিন্ডার খুলতেই ধোঁয়া নয়, বেরোচ্ছে জল! আগুন জ্বলে না, চড়ছে ক্ষোভ। এলপিজি সিলিন্ডারে জল থাকার অভিযোগে রীতিমতো বিক্ষুব্ধ বালুরঘাটের একাধিক গ্রাহক। মাসের পর মাস অভিযোগ জানিয়েও যখন মিলছিল না সমাধান, তখনই অভিযোগ জমা পড়ে ক্রেতা সুরক্ষা দপ্তরের টেবিলে। আর তার পরেই পালটে গেল চিত্র। বুধবার শহরের কলেজ মোড় এলাকার একটি ডিস্ট্রিবিউটর অফিসে আচমকা হানা দিল ক্রেতা সুরক্ষা দপ্তর। সঙ্গে এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ, লিগাল মেট্রোলজি ও খাদ্য সুরক্ষা আধিকারিকরা।
অভিযান চলাকালীনই উপস্থিত উপভোক্তাদের কাছ থেকে অভিযোগ শোনেন কর্তারা। কারও সিলিন্ডার বন্ধ হয়ে গিয়েছে মাত্র ক’দিন ব্যবহারের পরেই। খোলা সিলিন্ডারে স্পষ্ট জল। তৎক্ষণাৎ কিছু ভুক্তভোগীকে নতুন সিলিন্ডারও দেওয়া হয়। তবে প্রশ্ন উঠছে—এই ব্যবস্থা কি শুধু প্রশাসনের চাপেই?
ক্রেতা সুরক্ষা দপ্তরের ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর মনোজিৎ রাহা বলেন, “গত ছ’মাসে বহু অভিযোগ জমা পড়েছে। দেখা যাচ্ছে, সিলিন্ডারে জল থাকায় রান্নার কাজ বিঘ্নিত হচ্ছে। অনেক পরিবার চরম অসুবিধায়।” তিনি আরও জানান, ডিস্ট্রিবিউটর কিছু পরিবর্তন করলেও বহু অভিযোগ এখনও অমীমাংসিত।
অন্যদিকে ডিস্ট্রিবিউটর নীলংকর বর্মনের দাবি, “গ্যাস ভরানো আমাদের হাতে নয়। কোম্পানিকে জানিয়েছি। নির্দিষ্ট দপ্তর সার্টিফাই না করলে কিছুই করা সম্ভব নয়। অথচ দোষ গিয়ে পড়ছে আমাদের ঘাড়ে।”
তবে প্রশাসন স্পষ্ট করেছে, এ ধরনের গাফিলতি মেনে নেওয়া হবে না। রিপোর্ট জমা পড়বে অতিরিক্ত জেলা শাসকের কাছে। প্রয়োজনে নেওয়া হবে আরও কঠোর পদক্ষেপ। আপাতত স্বস্তিতে কিছু গ্রাহক, তবে বহুজনের চোখ এখন কর্তৃপক্ষের পরবর্তী পদক্ষেপের দিকে।