কাঁটা তার হীন ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে বেড়া দেওয়াকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা

0
50

কাঁটা তার হীন ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে বেড়া দেওয়াকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা। মালদার জেলার ভারত- বাংলাদেশ সীমান্তে সুকদেবপুর এলাকায় কাঁটা তারের বেড়া দেওয়াকে কেন্দ্র করে গতকাল বিকেলে ব্যাপক উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। কেন্দ্রীয় সরকারের পূর্ত সড়ক বিভাগ ,বিএসএফের সহযোগিতায় সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া তৈরি করার কাজ করছিল। কিন্তু ওই কাজের বাঁধা দেয় বিজিবি। ইতিমধ্যেই ওই ঘটনার একটি ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। (যদিও সত্যতা যাচাই করেনি আমরা)। এরফলে,কাজ বন্ধ হয়ে যায়। বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী মানুষজন ওই এলাকায় জড়ো হয়ে যায়। পাল্টা জড়ো হয় এপারের বাসিন্দারা। ঘটনার খবর পেয়ে কালিয়াচক ৩ নম্বর ব্লকের লোকজন ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। সরকারি নির্দেশ অনুযায়ী তার কাঁটা বিহীন উন্মুক্ত স্থানে বেড়া দেবার কাজ চলছে।
প্রশাসন সূত্রে খবর,সুখদেবপুর এলাকায় যেখানে বেড়া দেওয়ার কাজ হচ্ছিল তা বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বলে দাবি করে বিজিবি।সকালে দুপক্ষের মধ্যে আরও এক দফা আলোচনা হয়।সীমান্তের যে এলাকায় বেড়া দেওয়া হচ্ছে তা ভারতের অংশ বলে বিজিবিকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়। এরপর এর কাজ শুরু হয়েছে বলে দাবি প্রশাসনের।
সীমান্তের যে এলাকায় গোলমালের ঘটনা ঘটে তা মালদহের কালিয়াচক ৩নং ব্লকের অন্তর্গত বাখরাবাদ গ্ৰাম পঞ্চায়েত এলাকা। বাংলাদেশের এলাকাটি পড়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ থানার মধ্যে।ঘটনায় সেখানে বিজিবি কাঁটা তার বসাতে বাধা দেয়। এরপর স্থানীয় গ্রামবাসীরা সেখানে উত্তেজনা ছড়ায়। । বি এস এফ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে নিয়ে আসে। এলাকার পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে প্রশাসন জানিয়েছেন।
জেলা শাসক নীতিন সিঙ্ঘানিয়া জানান,একটা উত্তেজনা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল। বর্তমানে স্বাভাবিক রয়েছে। কাঁটা তার দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে।
রাজ্য তৃণমুল কংগ্রেসের সহ সভাপতি কৃষ্ণেন্দু নারায়ন চৌধুরী বলেন,এটা দিল্লির সরকার দেখছেন। আমাদের বি এস এফ সেখানে মজুত আছে। এখানে আমাদের কিছু বলার নেই।
দক্ষিন মালদহ জেলা বিজেপির সাধারন সম্পাদক অম্লান ভাদুরী বলেন,আমরা সোস্যাল মিডিয়াতে দেখেছি এবং নিজেরাও খবর নিয়েছি। ওখানে বাংলাদেশে গার্ড যারা আছে বিজিবি। আমাদের এখানে যে কাঁটাতার দেওয়ার ব্যবস্থা চলছিল। তখন তারা সেখানে আসে যেন জায়গাটা তাদের। ওরা সেটা বন্ধ করার চেষ্টা করে। তখন ডিএসএফ এবং সেখানে বসবাস করে মানুষেরা প্রতিবাদ করাতে তারা পিছু হাটে। বাংলাদেশের যে সরকার চলছে এবং তার যে বি জি বি ফোর্স এদের যে অসহিষ্ণুতা দেখা যাচ্ছে এবং তারা যেভাবে ইন্ডিয়া বিদ্বেষ ছড়াচ্ছে কোথায় কোথায় দিদি এরকম ঘটনার সৃষ্টি হয় মানে এখান থেকে বড় ঘটনা ঘটবে আমরা নিশ্চিত। কারণ বাংলাদেশ একটা ছোট্ট দেশ। আমরা প্রতিটা দেশের সার্বভৌমত্বকে সম্মান করি। কিন্তু তারা যদি ইন্ডিয়াকে অপমান করার চেষ্টা করে, বিএসএফকে অসম্মান করার চেষ্টা করে, এদেশের মানুষকে অপমান করার চেষ্টা করে, দেশের সীমানা নিয়ে গন্ডগোলের চেষ্টা করে তাহলে তাদের ওপর আক্রমণ নেমে আসবে। এটা স্বাভাবিক। ইন্ডিয়া গভমেন্ট এবং আমরা অনেকটা সহিষ্ণু। আমরা নিজেদের জায়গার ঠিক রেখে যা যা চুক্তি ও আন্তর্জাতিক চুক্তি মেনে চলার চেষ্টা করছি। সেখানে বাংলাদেশ যদি এরকম করতে চাই। তাহলে তাদেরও সাবধান হওয়া দরকার।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here